ডেস্ক রিপোর্ট

০৭ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ০১:৫৮

যিনি প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় ঢুকতে দেন না তিনি কীভাবে সংলাপে আসবেন : জয়

যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় ঢুকতে দেন না তিনি কীভাবে সংলাপে আসবেন বলে সংলাপ নিয়ে উচ্চকণ্ঠরা মনে করেন বলে প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুক্রবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। 

সজীব ওয়াজেদ বিএনপি-জামায়াত জোটকে হুঁশিয়ার করে বলেন- “৫০/৬০ জন মানুষ পুড়িয়ে মেরেছ। অনেক হয়েছে- এখন থাম। আর কোনো সন্ত্রাস আমরা সহ্য করতে রাজি নই। এখন থেকে পুলিশ বাহিনী এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেবে।”

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালে যা ঘটছে, তা ‘কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, “এটা সন্ত্রাস। তারা পেট্রোল দিয়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারছে।” এরপরও যারা সংলাপের পক্ষে বলছেন, তাদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

“যারা সন্ত্রাস করছে তাদের সঙ্গে সংলাপ করলে তাদের সাহস আরও বেড়ে যাবে। তারা মনে করবে মানুষ মেরে তো কাজ হয়। তারা উৎসাহিত হয়ে আরও সন্ত্রাস শুরু করবে। যারা সংলাপের কথা বলছেন তারা পাগল ছাড়া কিছুই নয়।”

সংলাপ সমর্থকদের তিনি প্রশ্ন করেন, “আমি আমার মা বা আওয়ামী লীগ সভাপতির কথা বলছি না, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়া তার বাসায় ঢুকতে দেয়নি, তার সঙ্গে দেখা করেননি, বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। যিনি প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় ঢুকতে দিলেন না, কী করে বুঝলেন তিনি (খালেদা জিয়া) সংলাপে আসবেন?”

সরকার পুলিশকে দিয়ে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের ‘হত্যা করাচ্ছে’ বলে যে অভিযোগ বিএনপি করেছে তা নাকচ করে জয় বলেন, “পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশের অধিকার রয়েছে তাদের নিজের জীবন রক্ষা করা। যারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে- পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে যে কোনোভাবে হোক তাদের থামান।

“আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে নিরাপদে রাখা। জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন পুলিশ সেটা করবে।”

পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহতরা ‘সন্ত্রাসী নয়, বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী'- একটি দৈনিকে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পত্রিকার উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসীদের বাঁচানো। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল সেই দেশের পুলিশ তো তাদের গুলি করে মেরে ফেলেছে। তাদের নিয়ে তো কারো মুখে কোনো কথা শুনি না।”

বিএনপি-জামায়াতের লোকজনই পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে অভিযোগ দাবি করে জয় বলেন, “খালেদা জিয়া অবরোধের ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারার হার বেড়ে যায়। এটা কী বিএনপি-জামায়াত করছে না? নাকি আসমান থেকে ভেসে এসে অন্য কেউ আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারছে?”

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত