প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
[email protected]
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
© ২০১৪ - ২০২৪
০৭ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২৩:০৯
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী মিশনে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও তারা সার্বিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ওই নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের মূখপাত্র ফারহান হক।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে বেশি সদস্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? জবাবে এ মূখপাত্র জানান- শান্তিরক্ষী ও রাজনীতি ভিন্ন বিষয়।
চলমান সহিংসতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন টানা অবরোধ চালিয়ে যাওয়া বিএনপি ও এর জোটের নেতারা।
এক মাসের বেশি অবরোধের মধ্যে বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন অন্তত ৫০ জন। দগ্ধের সংখ্যা কয়েকশত।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে বিজিবিও। সংস্থাটির প্রধান ইতোমধ্যে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা হামলার শিকার হলে মরণাস্ত্র ব্যবহারেও পিছপা হবেন না। পুলিশ ও র্যাব প্রধানও সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
তবে যে কোনো ধরনের প্রাণঘাতী হামলায় নিজেদের অংশগ্রহণ অস্বীকার করে আসছে বিএনপি। যদিও তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়েছিল- “বাংলাদেশে পরিস্থিতি দৃশ্যত ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে; যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রয়োগ করছে সরকার। তাই এ বিষয়ে মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া কি।”
এ পরিস্থিতিতে ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অথবা জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে কিনা- তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। আমাদের ডিপার্টমেন্ট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তারা বার বার বাংলাদেশ সফর করেছেন।
“তারা বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে কিভাবে সঙ্কটের সমাধান করা যায় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন।
“আপনারা আরও জানেন, এখনও ঘটেনি এমন বিষয়েও আমরা অব্যাহতভাবে উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছি। আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি সহিংসতার বিষয়ে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দিতে আমরা সরকারকে উৎসাহী করছি এবং অব্যাহতভাবে তা করে যাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য