বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো'র মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি কিন্তু তাদের সাথে সাক্ষাৎ হয়নি বেগম খালেদা জিয়ার। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছার পর তারা দেখতে পান ভেতর থেকে গেট বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী পরিষদের উপস্থিত সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে গেটের কাছাকাছি পৌঁছালেও ভেতর থেকে গেট খুলে দেওয়া হয়নি। এর কিছুক্ষণ আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমকে জানান খালেদা জিয়াকে ঘুমের ইঞ্জেকশান দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষাৎ না দিলেও বিএনপিসহ শরীক দলের বেশ কয়েকজন নেতা খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। বিকাল সোয়া ৩টায় আরাফাত রমহান কোকোর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আসতে শুরু করেন তারা।

গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন খালেদার ভাই সাঈদ এস্কেন্দারের স্ত্রী নাছরিন এস্কেন্দার, শামীম এস্কেন্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, খালেদা জিয়ার মেজো বোন সেলিমা ইসলাম, সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান সিরাজের স্ত্রী রাবেয়া সিরাজসহ প্রায় ২০/৩০ জন নারী স্বজন।

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবু রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দীন আহমেদ, রুহুল আলম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম মিয়া, সাবেক সাংসদ আশরাফউদ্দীন নিজান, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী সুলতানা আহমেদ শোকাহত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসেছেন।

ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য ড. অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমেদ ও সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এসেছেন খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে। সাক্ষাৎ করেছেন এলডিপির কর্ণেল অলি আহমেদ। 

আগে থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারা কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, খালেদা জিয়ার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।