নিউইয়র্ক সংবাদদাতা

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০১:৫৩

পদ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ‘পদ বিক্রি’র অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দলটির একাংশের নেতারা।

রোববার নিউইয়র্ক শাখা বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লন্ডনে অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে কমিটি গঠনে কোনো ধরনের ‘পদ বাণিজ্য’ অথবা ‘চাঁদাবাজি’ চলছে না।

গত ৩০ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা সাপ্তাহিকে অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন পদ ‘বিক্রির’ খবর আসে। এর সূত্র ধরে ১ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন আন্তর্জাতিক সম্পাদক নিউ ইয়র্কে বসে কমিটির বিভিন্ন পদের জন্য অর্থমূল্য নির্ধারণ করছেন।

প্রতিবেদনে বিএনপির ওই নেতার নাম উল্লেখ না করে বলা হয়, সভাপতি পদের জন্য এক লাখ এবং সাধারণ সম্পাদকের জন্য ৫০ হাজার ডলার ছাড়াও বিভিন্ন পদের জন্যই বিভিন্ন অংকের অর্থ চাওয়া হচ্ছে।

সোমবার কমিটির ‘পদ বাণিজ্যের’ খবর গণমাধ্যমে আসার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন।।

তবে রোববারের সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একাংশের নেতারা উপস্থিত থাকলেও ‘পদ বাণিজ্য’র অভিযোগকারী কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিউইয়র্ক বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারপার্সন আকতার হোসেন বাদল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া এবং আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান।

নিউইয়র্ক বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে নেতারা নিউ ইয়র্ক বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে নেতারা তারেক রহমানের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ নাকচ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপির হাই কমান্ডের নির্দেশ যারা মানেন না, তারা কোন বিএনপি করছেন সেটি ভাবনার বিষয়।

এদিকে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গত শনিবার শিকাগোয় যান বিএনপিনেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন। তিনি সেখানকার বিভক্ত বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু একাংশের নেতা রহমতউল্লাহ কমিটি গঠনের যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করলে কারও ডাকেই তারা সাড়া দেবেন বলে মিলনকে জানিয়ে দেন।

রোববার মিশিগানেও মিলন একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হন বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট এ পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা যারা মাঠে রয়েছি, তাদের অবজ্ঞা করে কমিটি গঠনের এ প্রক্রিয়ায় শঠতার প্রমাণ মিলছে।” এভাবে সাংগঠনিক কাঠামো তছনছ করার মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বে বিএনপির অবস্থাকেও নড়বড়ে করার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

দলের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বিএনপির হাই কমান্ডের নির্দেশেই আমরা কাজ করছি। কমিটি গঠনের দাবি অনেক পুরনো। এটি পূরণ হতে যাচ্ছে জেনে আমরা যারপরনাই খুশি। কিন্তু যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে তা সবাইকে হতাশ করেছে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত