গোলাম সাদত জুয়েল, নিউইয়র্ক

১৪ জুন, ২০১৬ ১৭:৪৫

ফ্লোরিডায় নিরাপদে আছেন বাংলাদেশীরা

সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার প্রবাসীরা বাঙ্গালীরা ভাল ও নিরাপদ আছেন ।

সারা আমেরিকায় এখন শোকের ছায়া। আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মাস শুটিং এ ভোর রাতে রোববার ২ টায় ফ্লোরিডার ডাউন টাউন অরলান্ডোর অরেঞ্জ এভিনিউয়ের গে নাইট ক্লাব পালসে ওমর মতিন (৩০) নামের আততায়ীর গুলিতে ২০ জন মারা যায় ৪২ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভতি হন। রোববার সকাল ১১ টায় মৃতের সংখা ৫০ জনে দাড়িয়েছে । ঘটনার সময় নাইট ক্লাবে তিনটি রুমে ৩২০ জন আমেরিকান নাগরিক ছিল। গোলাগুলি শুরু হলে অনেকে ভেবেছিল মিউজিক কিন্তু ৫ মিনিট পর সবাই বুঝতে পারে এটা হামলা তখন কেউ কেউ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাকিরা বাথরুমে ও দরজার দিকে ছুটে তখন অনেকে পিষ্ট হয়ে আহত হয়।

৯ জন পুলিশ মতিনকে গুলি করলে সে মারা যায়। ওমর মতিন ইউ এস সিটিজেন এর ব্যাকগ্রাউন্ডে পাওয়া যায় সে একটি সিকিউরিটি কোম্পানীতে কাজ করতো এবং তার কাছে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল যা সে ঘটনার কিছু দিন আগে কিনেছিল। ওমর মতিন ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দুবার অসংলগ্ন আচরনের কারনে এফ বি আইয়ের তদন্তে ছিল। কিন্তু প্রমান  না পাওয়ায় তাকে এফ বি আ্ই তেমন কিছু পায়নি ।

ওমর মতিনের বাসা রোববার পুরোটা দিন ঘিরে রেখে ছিল পুলিশ।

এফ বি আই ওমর মতিনের তথ্য প্রকাশ করে রোববার দুপুরের পর। রোবরার এমনি আমেরিকায় ছুটির দিন। ৫০ জন মারা যাওয়ায় সারা ফ্লোরিডা শোকে ভাসছে। পুলিশ জানায় আসল্ট গান, হান্ড গান দিয়ে মতিন শুট করে। যদিও পুলিশের গুলিতে সে মারা যায়। সেন্টাল ফ্লোরিডায় ১৬ মসজিদ সহ ইসলামি স্কুল, কবরস্থানসহ মুসলিম কমিউনিটি ভাল অবস্থানে ছিলেন। এ ঘটনায় মুসলিম কমিউনিটি শংকিত।

ওমর মতিন (৩০) এর বাসস্থান সেন্ট লুইস যা ঘটনাস্থল থেকে ২ ঘন্টার দুরত্বে। ৫০০০ বাংলাদেশী অরলান্ডো বসবাস করেন। বেশিরভাগই স্থানীয় ব্যবসার সাথে জড়িত তাই সবাই আতংকিত।

সব কিছু আটকে আছে ওমর মতিনের নামকে ঘিরে।।আমেরিকার নির্বাচনের ৫ মাস আগে এ ঘটনা নিবাচনে নতুন মোড় নিয়ে আসবে। ডেমক্রেটদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে তাকলেও ৫০ জন মারা যাওয়ায় নানা নাটকীয়তা দেখা দিতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেপিয়েস্ট সিটি অরলান্ডো ট্যুরিস্টদের স্বগরাজ্য। এই ঘটনায় এই রাজ্যের অথনিতিতে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করবে। এমিরেটস এর সরাসরি ফ্লাইট দুবাই অরলান্ডো গত ১ বছরে আশাতিরিক্ত ব্যবসা করেছে সেটার ভবিষ্যত এখন হুমকির মুখে পড়বে।

ফ্লোরিডা হাসপাতালের মুসলিম ডাক্তাররা রাত-দিন কাজ করছেন। সাধারন মানুষ লাইন দিয়ে রক্ত দিচ্ছেন। সেপ্টেম্বর ১১/২০০১ এর পর আবার আমেরিকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়লো। রোববার চার্চে বিশেষ প্রার্থনা চলছে।

মুসলিম কমিউনিটি লিডাররা শোকার্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন। এ কঠিন সময়ে সকল আমেরিকানদের একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। ওয়াল্ড ডিজনি খ্যাত ফ্লোরিডায় ট্যুরিস্ট বিজনেস ধস নামতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বোমার সদৃশ বস্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় করে।

বেশীর ভাগ বাংলাদেশী ঘটনাস্থল থেকে অনেকে দুরত্বে বসবাস করেন, ঘটনাস্থল সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার ডাউন টাউন এলাকা কমআর্শিয়াল এরিয়া, এর আশেপাশে বাংলাদেশী প্রবাসীরা থাকেন না বা তাদের কোন ব্যবসা প্রতিষ্টান নেই। সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় প্রবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। এর বেশীরভাগই স্থানীয় গ্যাস ষ্টেশন বা কনভিনিয়েন্স ব্যবসার সাথে জড়িত। গে নাইট ক্লাবে হামলার পর প্রবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর বিরাট প্রভার পড়তে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত