সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জুন, ২০১৭ ০২:২৪

নিউ ইয়র্কে কূটনীতিক গ্রেপ্তার, বাংলাদেশের প্রতিবাদ

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে শাহেদুলের গ্রেপ্তারের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ শাহেদুল ইসলামের গ্রেপ্তার ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন কনসুল্যার রিলেশনসের লঙ্ঘন— এমনটি মনে করার কারণ আছে বাংলাদেশের।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়েল রিফম্যানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ কথা জানানো হয়।

বিষয়টি আশু সমাধানের জন্য ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয়, বাংলাদেশের উদ্বেগ দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ শাহেদুল ইসলামকে তার গৃহকর্মীর এক মামলায় সোমবার (১২ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১২ সালের শেষ দিকে শাহেদুল বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ আমিন নামে একজনকে গৃহকর্মী হিসেবে নিউ ইয়র্কে নিয়ে যান। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ওই গৃহকর্মী পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।

সোমবার সকালে নিউ ইয়র্কের পুলিশ তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পর কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক ড্যানিয়েল লুইস ৫০ হাজার ডলারের বন্ড বা নগদ ২৫ হাজার ডলারে তার জামিন ঠিক করে দেন এবং তার পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেন বলে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন জানান। জামিন পেলে মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৮ জুন শাহেদুলকে আবার আদালতে হাজির হতে হবে।

উল্লেখ্য, একই ধরনের অভিযোগে এর আগে ২০১৪ সালের মার্চে নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার নোটিস দেওয়ার পর্যায়েই তিনি নিউ ইয়র্ক ছাড়েন। মামলাটি এখনও ঝুলে থাকলেও তার গৃহকর্মী মাসুদ পারভেজ গ্রিন কার্ড পেয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া কূটনীতিক শাহেদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গৃহকর্মী ২০১৬ সালের ১৭ মে থেকে শাহেদুল ইসলামের বাসা থেকে নিখোঁজ ছিল এবং তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরের দিন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিস স্টেট ডিপার্টমেন্টের সদর দফতরে আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়। ১৯ মে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সদর দফতরে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করে। কিন্তু শাহেদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও তথ্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশকে জানায়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনও সময় যেকোনও প্রয়োজনে বাংলাদেশ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত