যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি

০৯ আগস্ট, ২০১৭ ০১:৫৪

আসামি দোষ স্বীকার করেছে, এবার বিচার হোক: সালমান শাহর মা

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর মা নিলুফার চৌধুরী (নীলা চৌধুরী) বলেছেন, দীর্ঘ ২১ বছর হতে চলল। সালমানের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই বিবেচনা করা হয়নি। এখন আসামি নিজ থেকেই অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাই আর কালক্ষেপণ নয়, এবার বিচার হোক।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সালমানের মা ও জাতীয় পার্টির এক সময়ের নেত্রী নীলা চৌধুরী।

আত্মহত্যা নয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়েছে বলে ইউটিউবে প্রকাশ হওয়া এক ভিডিওতে দাবি করেন রাবেয়া সুলতানা রুবি নামে এক নারী। সালমানের সেই সময়কার প্রতিবেশী এবং তার স্ত্রী সামিরার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিউটিশিয়ান রাবেয়া। আদালতে সালমানের মায়ের দায়ের করা হত্যার অভিযোগে আসামিদের তালিকায় ৮ নম্বরে ছিল রাবেয়ার নাম।

নীলা চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সালমানকে হত্যা করা হয়। সে অনুযায়ী হত্যার পর থেকেই সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যে কারণে সালমানের মৃত্যুর বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

তিনি দাবি করেন, সালমানের মৃত্যুর পর তার বাবাকে দিয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা লিখে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার মধ‌্যে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের ফ্ল্যাট থেকে সালমান শাহর (শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন) লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন আত্মহত‌্যা হিসেবে দেখে পুলিশ অপমৃত‌্যুর মামলা নথিভুক্ত করলেও তাতে আপত্তি জানায় সালমান শাহর পরিবার। সালমানের বাবা কমরুদ্দীন আহমেদ হত্যার অভিযোগ তোলেন। কমরউদ্দিনের মৃত্যুর পর সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই মামলা চালাচ্ছেন।

পুত্রবধূ সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব‌্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ যে ১১ জনকে ছেলের মৃত‌্যুর জন‌্য দায়ী করে আদালতে আবেদন করেন নীলা, তারই একজন রুবি। সামিরা, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও রুবি ছাড়াও নীলা চৌধুরীর অভিযোগ ছিল সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে।

সালমান শাহর মৃত্যুর দীর্ঘ সময়ে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সালমানের পরিবার বারবারই নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চাওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয় আদালত।

১৯৯৩ সালে প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান সালমান শাহ। সব মিলিয়ে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার বেশিরভাগই হিট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত