নিউজ ডেস্ক

১০ জুন, ২০১৫ ১৩:২০

মালয়েশিয়া যাওয়া যাবে বেসরকারিভাবে

বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমেও মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন বাংলাদেশি কর্মীরা। সাগরপথে মানব পাচার রোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারিভাবে বছরে কত কর্মী পাঠানো যাবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। দেশটি বর্তমানে শুধু পেশাদার (প্রফেশনাল) ভিসা দিচ্ছে।
 
২০১২ সালে মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে জনশক্তি রফতানি (জিটুজি) শুরুর পর বেসরকারিভাবে জনশক্তি রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। জিটুজি পদ্ধতিতে গত আড়াই বছরে মালয়েশিয়ায় যেতে পেরেছেন মাত্র ১০ হাজার কর্মী।
 
জনশক্তি রফতানিকারক রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার সভাপতি আবুল বাশার জানিয়েছেন, পাচার ঠেকাতে মালয়েশিয়ায় বেসরকারিভাবেও জনশক্তি রফতানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি জানান, ৬ জুন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বায়রার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে জিটুজি অব্যাহত থাকবে।
 
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আবুল বাশার  বলেন, মালয়েশিয়ার সরকার যদি জিটুজির আওতায় চাহিদাপত্র পাঠায় তাহলে সরকারিভাবেই কর্মী যাবে। রফতানিকারকরা যদি মালয়েশীয় জনশক্তি আমদানিকারক অথবা নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে ভিসা আনতে পারেন তাহলে তারাও কর্র্মী পাঠাতে পারবেন। রফতানিকারকরাই ভিসা জোগাড় করবেন কিংবা মালয়েশিয়ায় যারা কর্মরত আছেন, তারা ভিসা পাঠাতে পারবেন।
 
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন  বলেন, মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে জনশক্তি পাঠাতে পারবে রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোও। জিটুজির মাধ্যমেও কর্মী যাবে। দুটি পদ্ধতিই খোলা থাকছে।
 
২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া। তিন বছর পর বাজার খুললে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণার কারণেই জিটুজি চালু করেছিল সরকার। এ পদ্ধতিতে মালয়েশীয় সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে কর্মী পাঠায় বাংলাদেশ। কর্মীপ্রতি খরচ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। ১৪ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে নিবন্ধন করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত