সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১২:৩৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সৈয়দ আহমেদ জামাল গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে বসবাস করছেন। ৫৫ বছর বয়সী জামালের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের রেকর্ড না থাকার পরও গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’।

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকা জানায়, স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া জামাল একসময় এইচ-ওয়ানবি (বিদেশ থেকে দক্ষকর্মী নিতে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা দেয়) ভিসায় সেখানে কাজ শুরু করেন। পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সময় তিনি আবারও স্টুডেন্ট ভিসা নেন।

গত ২৪ জানুয়ারি সকালে কানসাসের লরেন্স শহরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) কর্মকর্তারা। তাকে মিজৌরিতে মরগান কাউন্টির কারাগারে রাখা হয়েছে। জামালের ১৪, ১২ ও ৭ বছর বয়সের তিন সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তার পাঁচ ভাইবোনের সবাইও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

জামাল বর্তমানে ‘টেম্পরারি ওয়ার্ক পারমিট’ এ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি কানসাস সিটির পার্ক ইউনিভার্সিটিতে রসায়নের সহযোগী অধ্যাপক। এছাড়া, স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে গবেষক হিসেবেও কাজ করেন।

২০১১ সালে একবার জামালের ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ার পর বিচারক তার স্বেচ্ছা প্রস্থানের (ভলেন্টারি ডিপারচার) নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাকে তদারকাধীনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ, ওয়ার্ক পারমিট রক্ষা করার জন্য প্রতিবছর আইসিই’র কাছে রিপোর্ট করার ভিত্তিতে তাকে থাকতে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন অভিবাসন নীতিতে তদারকাধীনে থাকার ওই নিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীদের ওপরও খড়গহস্ত হয়েছেন। দেশটির ২৫ লাখ অভিবাসী এ শ্রেণীতে পড়ে এবং তাদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই।

ট্রাম্পের নতুন এ নীতির আওতায় ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ডেট্রয়েটের এক অভিবাসীকে গত মাসে মেক্সিকোতে বিতাড়ন করা হয়। জামালের ঘটনাটিও অনেকটা সেরকমই।

কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকুলার, সেলুলার এবং ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজিতে পোস্ট গ্যাজুয়েশন করা জামাল বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার কারণে কট্টরপন্থীদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কায় আর দেশে ফেরেননি।

পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য ভিসার আবেদন করলে তা খারিজ করে দেয় অভিবাসন আপিল বোর্ড। ওই আপিলে হেরে যাওয়ার চারবছর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হল বলে জনিয়েছেন ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) কর্মকর্তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত