নিউজ ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ০২:০০

নিউ ইয়র্কে রুমমেটের ডলার নিয়ে পালিয়েছে বাংলাদেশি যুবক

নিউ ইয়র্কে একই ঘরের বাসিন্দার মোটা অঙ্কের ডলার নিয়ে পালিয়েছে এক বাংলাদেশি যুবক। গত বুধবার বিকেলে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এলমহাষ্টের ডনগান এভেন্যুতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

নিউ ইয়র্কে একই ঘরের বাসিন্দার মোটা অঙ্কের ডলার নিয়ে পালিয়েছে এক বাংলাদেশি যুবক। গত বুধবার বিকেলে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এলমহাষ্টের ডনগান এভেন্যুতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

নিউ ইয়র্কের স্থানীয় একটি পত্রিকায় রুমমেট চাই বিজ্ঞাপন দেখে ঘটনার তিনদিন আগে মোহাম্মদ রেজা নামের আনুমানিক ৩৭/৩৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবক আবু সাথে যোগাযোগ করেন। রুম ভাড়া সংক্রান্ত কথাবার্তা চূড়ান্ত হবার পর অগ্রিম ২০০ ডালার দেয়ার শর্তে রেজা ডনগান এভ্যেনুর ৮৬-২২/ ২সি বাড়িতে রায়হানের ঘরসঙ্গি হন। আলাপের এক পর্যায়ে রেজা তার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরে বলে জানিয়েছিল। তিনদিনের মাথায় গত ৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪ টায় রায়হান তার কর্মস্থলে গেলে সুযোগ পেয়ে তার দেরাজ ভেঙ্গে ১৭ হাজার ডলার নিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া ঘরভাড়া বাবদ আলাদা গচ্ছিত আরও ১হাজার ডলার সে হাতিয়ে নেয়। রেজা ঘর থেকে পালিয়ে যাবার সময় অন্য আরও তিনজন ঘরসঙ্গি তাদের কর্মস্থলে ছিলেন।

ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘর তল্লাসী করে পুরানো একটি লটবহর থেকে রেজার মেয়াদ উক্তীর্ণ ট্যাক্সি ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করে। সেই সূত্র ধরেই রায়হান নিউ ইয়র্ক পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার রিপোর্ট নম্বর ১৭৬। মামলার তদন্তকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা লিজাবেথ ক্লেইন ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো ডলার চুরি করে পালিয়ে যাওয়া রেজার ৯২৯-২৫৭-৬৬১৭ নম্বর মুঠোফোন এখনও চালু রয়েছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে জমানো মোটা অঙ্কের অর্থ খুয়ে রায়হান পাগল প্রায়। এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তার কাছে ছুটে এসেছেন নিকটস্থ আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধন। তাকে সান্তনা যুগিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে রায়হান জানান তার জীবনে বড় একটা ভুল হয়েছে ক্যাশ ডলার ঘরে রাখা। তিনি বলেন দেশে যাবার একটা চিন্তা-ভাবনা করছিল,তাই নগদ অর্থ এনে ঘরে রেখেছে। সে দীর্ঘ ৭ বচর ধরে একই বাসায় বাস করছেন। পেশায় রায়হান একজন ট্যাক্সিচালক। তার বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া থানায় বলে সে জানিয়েছে। স্বদেশি দেখে কোন মায়ার বশবতী হয়ে ছবি ও সঠিক কাগজপত্র না দেখে আর কেউ যেন কোন রুমমেট না রাখে, এ ব্যাপারে প্রবাসীদের সজাগ থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আবু রায়হান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত