অনলাইন ডেস্ক

০২ জুন, ২০১৮ ১৫:৪৫

বাংলাদেশের পতাকা হাতে শততম দেশে নাজমুন

বাংলাদেশের পতাকা হাতে শততম দেশ হিসেবে জিম্বাবুয়েতে পা রেখেছেন ভ্রমণপ্রিয় নাজমুন নাহার সোহাগী। আর এর মাধ্যমেই তার ভ্রমণের তালিকায় যুক্ত করে নিয়েছেন ১০০টি দেশ।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ‘হ্যালো বাংলাদেশ, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই বাংলাদেশের পতাকা হাতে আমি পা রাখবো শততম দেশ জিম্বাবুয়েতে!’

পরে শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে নাজমুন নাহার জানান, ‘বাংলাদেশের পতাকা হাতে আজ পূর্ণ হলো আমার শততম দেশ ভ্রমণের ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের সকল মানুষকে শুভেচ্ছা জানান জাম্বিয়ান সরকারের স্থানীয় গভর্নর হ্যারিয়েট কায়িনা! বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে গত সতেরো বছর ভ্রমণের ইতিহাসের আজকের মাইলফলক হিসেবে আমাকে ‘Flag Girl’ উপাধি দেন জাম্বিয়ান সরকারের গভর্নর! বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় আমি জিম্বাবুয়েতে পায়ের প্রথম স্টেপটি রাখলাম!’

ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণ করে নাহার লিখেন, আজকের এই মুহূর্ত শুধু আমার নয়, এই গৌরবময় মুহূর্তের অংশীদার বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ! এই মুহূর্তে তাদের যারা একটি বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেছেন, প্রাণ হারিয়েছেন! আজ এই মুহূর্তে আমি সেই সব শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করছি।

সেই সময়ের অনুভূতি জানিয়ে এই তরুণী লিখেন, আজ ভিন্ন এক উদ্দীপনা কাজ করছে! শততম দেশে পায়ে হেটে যাত্রা! নিরান্নব্বইতম দেশ জাম্বিয়া থেকে পায়ে হেটে একশোতম দেশ জিম্বাবুয়েতে যাত্রা ! পূর্ণ হবে
আমার শততম! হৃদয়ে বাংলাদেশে দুচোখে আমার একশতম!

নাজমুন নাহারের জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

প্রথম দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। ২০০০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন প্রথম বিদেশ ভ্রমণ হিসেবে ইন্ডিয়ার পাঁচমারীতে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে যোগ দেন তিনি। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন পৃথিবীর ৮০টি দেশের গার্লস গাইড এবং স্কাউটদের সঙ্গে। তবে পৃথিবী ভ্রমণের সুযোগ পেতে বেশি দেরি হয়নি তার। এরপর ২০০৬ সালে সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। আর এতেই সুযোগ মিলে যায় বিশ্ব ভ্রমণেরও। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করে টাকা জমাতে থাকেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত