সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৪:৩১

ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনায় মাতৃভাষা দিবস পালন

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যরোলিনায় ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশী স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ (বিএসএ)।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল হাউজের বলরুমে প্রভাতফেরি এবং ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা।

প্রতি বছরের মত এবারও বিএসএ এর সদস্যরা ভাষা শহীদদের স্মরণে ‘বাংলাফেস্ট’ আয়োজনে করে। অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের দেশি-বিদেশি শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা।

ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যরোলিনার প্রেসিডেন্ট ডক্টর হ্যরিস প্যস্টিডেস দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ভিডিও বার্তা পাঠান। ডক্টর প্যস্টিডেস তার বক্তব্যে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের একাডেমিক সাফল্যের সাথে সাথে বাংলাদেশি সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশি-বিদেশি দর্শকদের জন্যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উপর একটি তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের সাথে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন দেশি-বিদেশি অতিথি ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে চকবাজার আগুনে নিহত এবং আহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ ও নীরবতা পালন করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় বিএসএ এর সদস্য কাজী তামান্না কেয়া বলেন, 'বাংলা ফেস্ট' এ আমরা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতিকে আমেরিকান সোসাইটিতে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ পাই। এ আয়োজনে তাই আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকে বাংলাদেশকে তুলে ধরার।

বিএসএ এর সভাপতি হোসাইন আহমেদ এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক খায়রুল সিদ্দিকের তত্ত্বাবধানে পরিবেশন করা হয় আধুনিক বাংলা গান, সমবেত নাচ, শিশুদের নাচ, বাংলা নাটক, মুক্তিযুদ্ধের গান, এবং যন্ত্রসঙ্গীতে পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনকালে অতিথিরা দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথির জন্যে বাংলা খাবার পরিবেশন করা হয়।

সাউথ ক্যরোলিনা ইউনিভার্সিটির ‘বাংলাফেস্ট’ আতিথেয়তা ও বাঙালি সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন উল্লেখ করে ‘হেলথ সার্ভিসেস পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট’ ডিপার্টমেন্টের চেয়ার ও অধ্যাপক এম মাহমুদ খান বলেন, ‘পুরো অনুষ্ঠানটি এক কথায় চমৎকার। একাডেমিক সকল দায়িত্বের মাঝে এমন একটি আয়োজন করে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রশংসার দাবি রাখে’।

বাঙালি কমিউনিটির সিনিয়র সদস্যসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দও বাংলাফেস্টের প্রশংসা করেন। সকলে আগামী বছর বাংলাফেস্টে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত