২৭ মার্চ, ২০১৯ ২৩:৪৫
মালয়েশিয়ায় কর্মরত এক বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিকের চোখ অনলাইনে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদিন মুং নামের এক শৌখিন আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিকের ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, ক্যামেরার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সেই তরুণ।
২১ মার্চ ছবিটি মুং টুইটারে শেয়ার করলে খুব দ্রুত তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আলোচিত সেই তরুণের নাম জানা যায়নি। ছবিটি মুং টুইটারে শেয়ার করার পর থেকে ২৪ হাজারেরও বেশিবার পোস্টটি রিটুইট হয়েছে। এর পাশাপাশি ৬৮ হাজারের বেশি লাইকও পড়েছে।
ছবিটির নেপথ্যের গল্প শোনাতে আলোকচিত্রী মুং বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে যেখানে নাশতা করি, সেই জালান আইপোহর কাছাকাছি একটি জায়গায় নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। প্রথমবার যখন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়, তখন আমি একটি ভিডিও শুট করছিলাম। সেদিন ওর ছবি তোলার সুযোগ হয়নি আমার। কিন্তু পরে তাকে আবার ঠিক সেখানেই পেয়ে গেলাম।’
মুং জানান, ওই তরুণের চোখজোড়া এতটাই ব্যতিক্রমী যে সেগুলো ক্যামেরার লেন্সে বন্দি না করে তিনি পারেননি। আকর্ষণীয় চোখের সেই তরুণের লাজুক স্বভাবের জন্য ছবি তুলতে গিয়ে যে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে, জানান মুং।
তিনি বলেন, ‘তিনি খুবই লাজুক ছিলেন। কোন দিকে তাকাতে হবে, এটিও বুঝতে পারছিলেন না তিনি। বারবার তাকে বলছিলাম, আমার ফোনের ক্যামেরার দিকে তাকাতে। কিন্তু একদম সরাসরি লেন্সের দিকে না তাকানো পর্যন্ত এবং তিনি কিছুটা ঘামতে শুরু না করা পর্যন্ত ছবিটা মনমতো হচ্ছিল না। এরপর আমি এই ছবিটি তুললাম। ছবিটি সুন্দর, তাই না?’
এরপর থেকেই একের পর এক রিটুইট হতে থাকে ছবিটি। তরুণের চোখের প্রশংসা করে অনেকে তো এমনটাও বলেছেন, তাকে মডেলিংয়ের প্রস্তাবও দেওয়া উচিত!
অনেক টুইটার ব্যবহারকারী মুংয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন এই বলে যে, ওই তরুণ শ্রমিককে খুঁজে বের করে যেন একটি পূর্ণাঙ্গ ফটোশুট করা হয়। হয়তো সেই ফটোশুট থেকেই মডেলিংয়ের দুয়ারে পৌঁছে যাবেন তিনি!
অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশি তরুণের ছবিটি ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রচ্ছদে আসা আফগান মেয়ে শরবত গুলার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। লাল স্কার্ফ মাথায় সবুজ চোখের সেই আফগান বালিকার ছবি ওই সময় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।
আপনার মন্তব্য