সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ জুলাই, ২০১৯ ১০:৫৭

নিউ ইয়র্কে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান

সুনামগঞ্জসহ দেশে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বানের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ ইনকের বার্ষিক বনভোজন।

১৪ জুলাই রোববার অনুষ্ঠিত এ বনভোজনে নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে বসবাসরত সুনামগঞ্জ জেলার নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোররা দিনভর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নিউ ইয়র্কের এস্টেরিয়া পার্কের খোলা মাঠে খেলাধুলাসহ নানা আনন্দে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে সুনামগঞ্জ ছাড়াও বৃহত্তর সিলেটের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী যোগ দেন। সুনামগঞ্জ প্রবাসীদের মিলন মেলায় পরিনত হয় এই বনভোজন।

সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি মো. জুসেফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল আম্বিয়া টিপুর পরিচালনায় এবং বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক মনির উদ্দিন, প্রধান সমন্বয়কারি ছদরুন নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক আহমেদ এবং সদস্য সচিব মান্না মুনতাসিরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেইফ হেলথ মেডিকেল কেয়ারের কর্ণধার ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির উপদেষ্টা ইকবাল আহমেদ মাহবুব, সমিতির উপদেষ্টা ও স্টারলিং-বাংলাবাজার বিজনেস এসোসিয়েশন এবং বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সমিতির উপদেষ্টা ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম এয়াহইয়া, সমিতির উপদেষ্টা নুরুজ্জামান শাহী, রাবেয়া মালিক, আজমল আলী ও তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনকের প্রেসিডেন্ট আবদুস শহীদ ও সহসভাপতি এডভোকেট নাসির উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, জাতীয় পার্টির নেতা আবদুন নূর বড় ভূইয়া ও আলতাফ হোসেন, ছাতক সমিতির সভাপতি মো. আবদুল খালেক, লংজিভিটি হেলথ সার্ভিসের কর্ণধার রুকন হাকিম, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট শামিম আহমেদ, জামাল আহমেদ, মাওলানা শিহাব  সহ কবি, লেখক, সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।

আয়োজকরা জানান, বিপুল সংখ্যক সুনামগঞ্জবাসী এ বনভোজনে অংশ নেন। এদিন প্রবাসীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বনভোজন স্থলে এসে সমবেত হন সকাল থেকেই। উপভোগ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। মেতে ওঠেন নানা আলাপচারিতায়। বনভোজনে বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্য ছিল খেলাধুলার আয়োজন। মহিলাদের জন্যও ছিল বিশেষ আয়োজন। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণ র‌্যাফেল ড্র। এতে পুরষ্কার ছিল নানা মূল্যবান সামগ্রী। শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী এবং র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে দেশ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

বনভোজনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, সুনামগঞ্জসহ সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে প্রবাসীরা। প্রবাসীবান্ধব সরকারও প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় সদা সচেষ্ট। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, শান্তিতে আছেন সবাই।

বিপুল সংখ্যক সুনামগঞ্জবাসী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সভাপতি মো. জুসেফ চৌধুরী প্রবাসী সুনামগঞ্জবাসীসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আজকের এই বনভোজন সুন্দর ও সফল হয়েছে। বনভোজনে সহযোগিতাকারীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটি বৃহৎ পরিবারের মত সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জবাসীর প্রিয় এই সংগঠন। সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিতে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও দোয়া কামনা করেন।

অন্যান্য বক্তারা দেশে ও প্রবাসে সুনামগঞ্জবাসীর কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা সুনামগঞ্জ তথা দেশের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্ববান জানান। সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সাহায্যার্থে সকলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান হয় বনভোজন থেকে।

র‌্যাফেল ড্র প্রাইজ স্পন্সরদের মধ্যে ছিল- ১ম প্রাইজ জমজম ড্রাগ ফার্মেসী, ২য় প্রাইজ আহাদ আলী সিপিএ, ৩য় প্রাইজ হামজা কোরেসী, ৪র্থ প্রাইজ হাকিম অ্যান্ড কো. এাল্টি সার্ভিস, ৫ম প্রাইজ মো. নুরুল হক, ৬ষ্ঠ প্রাইজ লিখন ভূইয়া, ৭ম প্রাইজ ফয়সাল আহমেদ, ৮ম প্রাইজ ইউনাইটেড ট্র্যাভেলস এবং ৯ম প্রাইজ জুলি আকতার।

বনভোজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জুসেফ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন আহমেদ, মো. আবদুল আজিজ, আবু সালেহ চৌধুরী ও নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির সোহেল, কোষাধ্যক্ষ এফ রহমান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক হামজা কোরেশী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. কয়েস খান, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক এমডি এম কবির, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল হক চুন্নু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহানা নূর, দপ্তর সম্পাদক মো. শুকুর আলী, কার্যকরী সদস্য- আফতাব আলী, আজিজুর রহমান রানা, মানিক আহমেদ, আলী রেজা, হাবিবুর রহমান, হোসেন আহমেদ, মান্না মুনতাসির, রুমেল হোসেন, কয়ছর আহমেদ, আবদুর রউফ, ইমতিয়াজ আহমেদ বেলাল, আলাউদ্দিন আহমেদ, রাসেল মিয়া, আবু সাদিক ও রওশন আরা বেগম।

অনুষ্ঠানের স্পন্সর ছিল সিলেট মটর, সেইফ হেলথ মেডিকেল কেয়ার, লংজিভিটি হেলথ সার্ভিস, জমজম ফার্মেসি, আহাদ আলী সিপিএ, ওয়াসী চৌধুরী, ইউনাইটেড অটো রিপেয়ার এবং ইউনিভার্সেল ট্র্যাভেলস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত