সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৩:০৫

কানাডায় প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে চট্টগ্রামের মেয়ে দুরদানা ইসলাম

ম্যানিটোবার প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে আলোচনায় ওঠে এসেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী ড. দুরদানা ইসলাম। এনডিপির মনোনয়ন নিয়ে ম্যানিটোবার সিয়াইন রিভার নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ম্যানিটোবার প্রভিন্সিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কানাডা থেকে প্রকাশিত নতুনদেশডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্টারিওর স্কারোবোর সাউথ্ওয়েষ্ট আসনে এনডিপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে ডলি বেগম কানাডায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনপ্রতিনিধি হয়ে ইতিহাস তৈরি করেন। এবার ম্যানিটোবায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইতিহাস তৈরির স্বপ্ন দেখছেন দুরদানা ইসলামও। তাকে সমর্থন দিয়ে কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছেন স্কারবোরো সাউথ্ওয়েষ্ট থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম এমপিপি ডলি বেগম। ইতিমধ্যে ভিডিওবার্তায় তিনি দুরদানাকে সমর্থন দিয়ে তার জন্য ভোট চেয়েছেন তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ু ব্যবস্থাপনায় পিএইচডি ডিগ্রিধারী ড. দুরদানা কানাডার রয়্যাল রোড ইউনিভার্সিটি এবং অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে দুই দফা মাস্টার্স ডিগ্রি করেন। পুরষ্কার বিজয়ী জলবায়ু গবেষক ড. দুরদানা উইনপেগ ইউনিভার্সিটিতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।

ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এবং আঞ্জুমানারা বেগমের কন্যা দুরদানা ইসলাম ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে কুমিল্লা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে এসএসসি উত্তীর্ণ হন তিনি। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি করার পর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। পরে কানাডায় অভিবাসী হন দুরদানা।

১৯৯০ সাল থেকে পৃথক নির্বাচনী রাইডিং হিসেবে যাত্রা শুরু করা সিয়াইন রিভার আসনটিতে বরাবরই কনজারভেটিভ আর এনডিপির মধ্যে লড়াই হয়েছে। ১৯৯০ সালের প্রথম নির্বাচন থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির নিয়ন্ত্রণে ছিলো এই আসনটি। ২০০৩ সালে এনডিপি এই আসনটি ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী দুটি নির্বাচনে এনডিপি প্রার্থী নির্বাচিত হয় এই আসনে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে আবার কনজারভেটিভ পার্টি জয়ী হয়।

কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত বর্তমান এমএলএ জেনিস মোরলিও এবার এই আসনে প্রার্থী। তার কাছ থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতেই এনডিপি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. দুরদানা ইসলামকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। মাত্র ১৮ শতাংশ অভিবাসী অধ্যুষিত এই আসনের ৯০ শতাংশের বেশি বাসিন্দা নিজের মালিকানাধীন বাড়িতে বসবাস করেন। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নাগরিকদের বসতিপূর্ণ একটি আসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. দুরদানা নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত