সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:১৭

আন্তর্জাতিক আইনের সুদৃঢ় বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ: মাসুদ বিন মোমেন

'সাইবার জগতে সক্ষমতা বিনির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতির সুদৃঢ় বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ'।

১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে তথ্য ও টেলি যোগাযোগ উন্নয়ন’ সংক্রান্ত একটি উন্মুক্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বিষয়ভিত্তিক সেশনে প্রদত্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মাসুদ ২০১৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহে একটি সাইড ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বক্তব্যের উদ্বৃতি তুলে ধরে বলেন, 'জাতিসংঘ ও এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা সংস্কৃতি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময়ই সমর্থন দিয়ে আসছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশযোগ্য সাইবার জগৎ সৃষ্টিতে আমাদেরকে অবশ্যই শক্তিশালী রাজনৈতিক সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে'।

বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, 'সরকার ও প্রধান টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানসমূহের পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ, সচেতনতা সৃষ্টি এবং নির্ভরযোগ্য পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা সৃজনে আমাদের আরও বেশী সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রয়োজন'।

এ বিষয়ক সর্বোত্তম অনুশীলনসমূহ পরস্পরের মধ্যে ভাগ করে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও নিবেদিত থাকতে হবে মর্মে গুরুত্বারোপ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
এছাড়া সাইবার ইস্যুতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন পরিক্রমায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে তথ্য-প্রযুক্তি খাত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়া বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সেন্টারসমূহে নাগরিকদের একশতটিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা প্রদান করে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে জার্মান স্থায়ী মিশনে আয়োজিত ‘সাইবার জগতে স্থিতিশীলতা এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের প্রচেষ্টা’ শীর্ষক একটি সাইড ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী প্রতিনিধি।

জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো, ঘানা, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ এই সাইড ইভেন্টটির আয়োজন করে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশন ৭৩/২৭ এর আওতায় ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর এই ওয়ার্কিং গ্রুপ অনুমোদিত হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত