নিউজ ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০০:৪৭

‘মৌলবাদী রাজনীতি বাদ দিতে খালেদাকে চাপ দিন’: ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে খোলা চিঠিতে আ.লীগ নেতা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য সফরের সময়েই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের এক নেতা।

লন্ডন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুশান্ত দাস গুপ্ত খোলা চিঠিতে বিএনপি যাতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামির সঙ্গ ছেড়ে সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতি করে সে ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারকে চাপ দিতে বলেছেন।

চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ্য করেছেন দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মত গুরতর অভিযোগে অভিযুক্ত তারেক রহমানের ব্যাপারে ব্রিটেন সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।  যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা সুশান্ত দাশগুপ্তের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেয়া ইংরেজি চিঠির বাংলা অনুবাদ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তোলে দেয়া হল:


মাননীয় সংসদ সদস্য
হাউজ অব কমন্স
ইউকে।

প্রিয় সংসদ সদস্য:

ইংল্যান্ডের সাথে দীর্ঘসময় ধরে পরীক্ষিত অংশিদারিত্ব এবং বন্ধুত্ব আছে কমনওয়েলথের এমন একটি সদস্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একজন হিসেবে আপনাদের উদ্দেশ্যে লিখছি। আপনারা অবগত আছেন যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন ব্যক্তিগত সফরে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। আপনারা এও অবগত আছেন যে, তার সন্তান কুখ্যাত তারেক জিয়া দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগে ইংল্যান্ডের লন্ডনে পলাতক আছে।

এই দুই ব্যক্তি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে বহু ধ্বংসলীলা, হত্যাকাণ্ড ও অস্থিরতার জন্য দায়ী। বিএনপি তার চরমপন্থি মিত্র জামায়াত-ই-ইসলামির সাথে এক হয়ে তথাকথিত ‘আন্দোলনের’ নামে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব কায়েম করে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড ও ভাংচুর ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে পেরেছে। তবু, তাদের অতীত আচরণ বিচার করে এই সম্ভাবনা পাওয়া যায় যে, যে কোন দিন তারা বোমাবাজি এবং হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাদের চিরচেনা কৌশলের দ্বারস্থ হবে।

আপনাদের অবগতির জন্য আমি কিছুসংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ নথি সংযুক্ত করেছি যা তিনটি ব্যাপারের উপর আলোকপাত করবে:
১) কিভাবে বিএনপি-জামাত তথাকথিত ‘আন্দোলনের’' নামে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত শত শত মানুষকে হত্যা ও বিকলাঙ্গ করে দিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং অশান্তির কারণ হয়েছিল;
২) তারেক রহমান এর আসল সত্য কি এবং কেন ব্রিটিশ সরকার ন্যূনতম মাত্রায় হলেও সতর্ক এবং উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ;
৩) কিভাবে খালেদা জিয়া ২০০১-০৬ সময়ে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যক্রমকে ঢাকা দেবার জন্য বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

গণতন্ত্র, শান্তি এবং আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের বন্ধু এবং সহযোগী সুহৃদ হিসেবে যথাযথ ভূমিকা পালন করা ইংল্যান্ডের নৈতিক দায়িত্ব। অতঃপর, অনুরোধ করছি যে, তথাকথিত ‘আন্দোলনের’ নামে পরবর্তীতে আরও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে থামা এবং নিবৃত্ত হবার জন্য, যুদ্ধাপরাধী দ্বারা পরিপূর্ণ চরমপন্থি দল জামায়াত-ই-ইসলামির সাথে এর সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং শান্তিপূর্ণ ও বৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপির উপর চাপপ্রয়োগ করতে ব্রিটিশ সরকারকে রাজি করাবার জন্য আপনারা সচেষ্ট হউন।“

বিনীত
সুশান্ত দাস গুপ্ত
লন্ডন ই৬
ইউকে
ইমেইলঃ [email protected]
ওয়েবঃ www.sushanta.net"



আপনার মন্তব্য

আলোচিত