সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ মার্চ, ২০১৬ ২৩:৩২

ফুল পাখি ও নদীর গানে জলের গান

নান্দিক নাট্যদল সিলেটের আয়োজনে নাট্যোৎসবের ৪র্থ দিনে শুরু হয় 'জলের গান' ঢাকার পরিবেশনায় মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে পড়েন রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে উপস্থিত শ্রোতারা।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘সোয়া যাও যাও রে’- গানটি দিয়ে শুরু হয় জলের গান-এর পরিবেশনা।

দেশজ বাদ্যযন্ত্র দিয়ে জলের গানের ২ ঘন্টাব্যাপী এ পরিবেশনায় ছিল প্রায় ১২টির মত নতুন ও পুরাতন গান। জলের গানের খুব জনপ্রিয় গানগুলোর পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুনধারার বেশ কিছু গান নিয়ে সাজানো ছিল পরিবেশনা। যতটা না যান্ত্রিক তার চেয়ে বেশি তাত্ত্বিকতাপূর্ণ ছিল এই আয়োজন।

পরিবেশনার মধ্যখানে স্বকীয় ধারায় প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে ও সিলেটের লোকগানের শিল্পী চন্দ্রাবতী রায় বর্মণ কে জলের গানের শিল্পীরা স্মরণ করেন।

সংগঠনটির অন্যতম শিল্পী রাহুল আনন্দ বলেন, আমাদের দলের সদস্যদের মধ্যে ৪ জনের সুন্দর একটি সময় কেটেছে সিলেটে। অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল জলের গান সিলেটে পরিবেশনা নিয়ে আসবে। আজ এই পরিবেশনার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশা অনেকাংশে পূরণ হয়েছে। এজন্য তিনি নান্দিক নাট্যদল সিলেটকে নাট্যোৎসব আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
 
জলের গানের ফুল পাখি ও নদীর গান পরিবেশনায় ছিলেন রাহুল আনন্দ, কনক আদিত্য, সাইফুল জার্নাল, রানা সারোয়ার, এ.বি.এম. জেম, শিউলী ভট্টাচার্য, আসিফ আরমান, রুবায়াত সামী ও শুভ।

১১ মার্চ (শুক্রবার) ৫ দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবের সমাপনী দিন সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে ভাটি বাংলা নাট্যগোষ্ঠী দিরাই মতিউর রহমানের রচনায় ও নিবারণ চন্দ্র দাসের পরিচালনায় পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘গরিবের আর্তনাদ’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত