সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৫২

রবীন্দ্র প্রয়াণ বার্ষিকীতে শ্রুতি সিলেটের কবি প্রণাম অনুষ্ঠিত

সেতারেতে বাঁধিলাম তার, গাহিলাম আরবার/মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক/আর কিছু নয়, এই হোক শেষ পরিচয়-এভাবেই কবিতার চরণে আত্মপরিচয় দিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সৃষ্টির আলোয় রবির কিরণ ছড়িয়ে তিনি হয়েছেন বাঙালীর প্রাণের মানুষ। সাহিত্য কিংবা শিল্পের আলোকধারায় ছুঁয়েছিলেন বাঙালীর মন-প্রাণ। দিয়েছেন বাঙালীর সংস্কৃতিবান হয়ে ওঠার পথের দিশা।

চেতনে কিংবা অবচেতনে আপন সৃষ্টি ও দর্শনে ঠাঁই করে নিয়েছেন বাঙালীর মননে। অনুপ্রেরণার সঙ্গী হয়েছেন বাঙালীর সঙ্কটে, সংগ্রামে, আনন্দ ও ভালবাসায়। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য জাতীয়তার গণ্ডি পেরিয়ে পেয়েছিল আন্তর্জাতিকতার ঠিকানা। স্বদেশের ঠিকানা ছাড়িয়ে বৈশ্বিকতায় ঠাঁই করে নিয়েছিল বাঙালিত্বের গৌরববৌধ। বাংলা পঞ্জিকার হিসেবে শনিবার ছিল বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবির ৭৫ তম প্রয়াণবার্ষিকী।

এই উপলক্ষে শ্রুতি সিলেট প্রতিবারের মত এবারো আয়োজন করে কবি প্রণাম এর। তৃণা চৌধুরী ও অত্রি ভট্টাচার্য এর সঞ্চালনায়  প্রথমে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে শ্রুতি সিলেটের  কনিষ্ঠ সদস্য বৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতি সিলেটের সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত ও সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।  আলোচনা পর্বে বক্তারা উল্লেখ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একক প্রচেষ্টায় তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য কে আধুনিক করে তুলেছেন।

 জীবনের শেষ পর্যায়ে চিত্রকলা চর্চায় মননিবেশ করে সেখানে ও অনন্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানে সফল হয়েছেন। সমুখের নীল আকাশ যেমন বিশাল রবীন্দ্রনাথ ও তেমন বিশাল। তাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়। রবীন্দ্রনাথের রচনায় কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে মানব ,প্রকৃতি এবং দেশপ্রেম। বাঙালি তার যাপিত জীবনের অনুভূতি গুলো খুঁজে পায় রবীন্দ্রনাথে। এর পর একে একে গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে শ্রুতি সিলেটের সদস্য বৃন্দ।  জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত