নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৯:৪৯

বাঁশির সুরে বিমোহিত-মগ্ন দর্শকশ্রোতা

মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব সিলেটের ৭ম দিনে উপস্থিত হাজারো দর্শক বিমোহিত ও মগ্ন হয়ে পড়েন বাঁশির টান আর সুরে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বিশিষ্ট বংশীবাদক মো. মনিরুজ্জামানের বাঁশিবাদন দিয়ে শুরু হয় হাছন রাজা মঞ্চের অনুষ্ঠান। এ সময়ে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকেন বাঁশির সুর।

তিনি তার পিতা ওস্তাদ আব্দুর রহমানের অধীনে দীক্ষা লাভ করেন।

মো. মনিরুজ্জামান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট বংশীবাদক। বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে বংশী, রুপালী বাঁশি, স্যাক্সোফোন, সুপ্রা স্যাক্সোফোন, চাইনিজ বাঁশি বাজানোও তার দখলে। তিনি ফিউশন সংগীত নিয়ে গবেষণা করেন।

তার তিনটি একক এলবাম বেড়িয়েছে। এগুলো হল সমকাল, এগারো, ডেসটিনেশন।

৭ম দিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে আরও রয়েছে সিনেমা প্রদর্শন, সাথি ইসলামের ভজন ও কীর্তন। রবীন্দ্রসংগীতে শামা রহমান। আর দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্যের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গান।

উল্লেখ্য, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। পুরো উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাককে। ইনডেক্স গ্রুপ নিবেদিত এ উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে ঢাকা ব্যাংক। সম্প্রচার সহযোগী চ্যানেল আই।

উৎসবের প্রতিদিনই কয়েকটি মঞ্চে অনুষ্ঠান হচ্ছে। মূল অনুষ্ঠান হবে সৈয়দ মুজতবা আলী এবং হাসন রাজা মঞ্চে। এ ছাড়া প্রথম দিন থেকেই শাহ আবদুল করিম চত্বরে বাদ্যযন্ত্র ও সিলেট অঞ্চলের লোকগানের ইতিহাস নিয়ে প্রদর্শনী; গুরুসদয় দত্ত চত্বরে কারুমেলা ও বেঙ্গল প্যাভিলিয়ন এবং কুশিয়ারা কলোনেডে স্থাপত্য প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। রাধারমণ দত্ত বেদিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সুবীর চৌধুরী আর্ট ক্যাম্প।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত