অরণ্য রণি

০১ মার্চ, ২০১৭ ০২:৪০

চেনা-অচেনা বাদ্যযন্ত্রের অপূর্ব সমাহার

বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব

মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ভাটির পুরুষ বাউল সম্রাট আব্দুল করিম চত্বর। এই চত্বরে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতির সাথে জড়িত বিলুপ্তপ্রায় ও প্রচলিত ৪০টি বাদ্যযন্ত্র। আর এ সকল বাদ্যযন্ত্রের নাম, পরিচয়, উৎপত্তিকাল, কাজ সবই লেখা আছে বাদ্যযন্ত্রের পাশে। এসব দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শনার্থীরা।

বয়সে যারা প্রবীণ, তাদের অনেকেই এ সকল বাদ্যযন্ত্রের সাথে একটু-আধটু পরিচিত থাকলেও বর্তমান তরুণ প্রজন্ম তেমনভাবে পরিচিত না। আর তাই এ সকল বাদ্যযন্ত্রের সাথে ছবি বা সেলফি তুলে রাখতে ভুল করছেন না তারা।

আবার শিশুদের অনেকেই যন্ত্রের বা যন্ত্রের ছবির পাশে গিয়ে মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করছে, 'মা, এটা কি?, বাবা এটা কি?' এ যেনো শিশু, কিশোর, বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কাছে আমাদের সংস্কৃতির এ সকল বিলুপ্তপ্রায় যন্ত্রগুলোকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার একটা প্রয়াস।

প্রদর্শনীতে থাকা যন্ত্রগুলো হলো হারমোনিয়াম, অ্যাকর্ডিয়ান, ব্যাঞ্জোলিন বা ইন্ডিয়ান ব্যাঞ্জো বা বুলবুল তরঙ্গ, এস্রাজ, বেহালা, সারঙ্গী, বাঁয়া তবলা, ফ্লুট, মোহন বাঁশি, মুরলী বাঁশি, আড়বাঁশি, তুবড়ী বা বীণ, বেণু, রোবানা, স্বরাজ, সুর সংগ্রহ, চিকরো, ট্রাম্পেট, স্বরনাই, কর্নেট বিউগল, সানাই, সারিন্দা, দোতারা, একতারা, গোপীযন্ত্র, ব্যানা আনন্দলহরি বা খমক বা গুবগুবি, তমুরা বা তানপুরা, স্বরমণ্ডল, সরোদ, পাখোয়াজ, করতাল, মন্দিরা, ঝাঁঝ, করতাল কাঁসর বা কাঁসি, মেকুড়, খঞ্জনি, ডমরু বা ডুগডুগি, ঘুঙ্গুর, প্রেমজুড়ি, হাত-বাঁয়া, চিত্তকটোলা, ঢাক (ডঙ্গা) ও সেতার।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি ইংল্যান্ডে হারমোনিয়াম প্রবর্তিত হয়। একই সময়ে উপমহাদেশেও এর প্রচলন শুরু হয়। মজার বিষয় হল, এতো বছরেও হারমোনিয়ামের মূল প্রযুক্তির তেমন কোন পরিবর্তন হয় নি। ধারণা করা হয়, ভারতবর্ষে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই যন্ত্রটির প্রবর্তক। হারমোনিয়াম অত্যন্ত জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র। লোক, নাগরিক বা উচ্চাঙ্গ যে কোন ধরণের কণ্ঠসংগীতের জন্য এর সংগত অত্যাবশ্যকীয়।

ব্যাঞ্জোলিন আধুনিক বাদ্যযন্ত্র। সাধারণত সুফি, ভজন ও আধ্যাত্মিক গানে এ বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়। সহজ বাদ্যপ্রণালীর কারণে লোকবাদ্যে এবং শিশুদের মাঝে বুলবুল তরঙ্গ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। জাপানে বিপুল জনপ্রিয় 'তাইশো গোতো' বাদ্যযন্ত্র অবলম্বন করে ব্যাঞ্জোলিন বা বুলবুল তরঙ্গের উদ্ভাবন ঘটে। তিরিশের দশকে এটি ভারতবর্ষে পরিচিতি লাভ করে।

পঞ্চাশ-ষাটের দশকে বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল আ্যকর্ডিয়ান। কিবোর্ড ও সিনথেসাইজার আবির্ভাবের পর এ বাদ্যযন্ত্রটি কিছুটা ম্লান হয়ে যায়। বর্তমানে আ্যকর্ডিয়ানের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে সিনেমার গানে আ্যকর্ডিয়ানের সংগত আবশ্যক ও অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। বাক্সের মত দেখতে সারি-সারি বেলোর মাধ্যমে বাতাস চেপে যে কোন সুর তোলা যায় যন্ত্রটিতে। বাংলাদেশেও নাটক ও চলচ্চিত্রের গানে আ্যকর্ডিয়ানের সুর একদা সুপরিচিত ছিল।

উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বার্লিনে আ্যকর্ডিয়ান প্রথম প্রবর্তিত হয়। এরপর অভিবাসীদের হাত ধরে সারা ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে এটি ছড়িয়ে পড়ে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ১৯০০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত সময়কে ইউরোপে আ্যকর্ডিয়ানের স্বর্ণযুগ আখ্যায়িত করা হয়। সিরিল ডেমিয়ান অস্ট্রিয়াতে ১৮২৯ সালে আ্যকর্ডিয়ানের আধুনিক রূপ প্রবর্তন করেন। সে বছরটিকে আ্যকর্ডিয়ানের সূচনাবর্ষ হিসেবে গণ্য করা হয়।

এস্রাজ একটি তত যন্ত্র। এটি সপ্তদশ শতকের যন্ত্র বলে ধারণা করা হয়। কাঠের তৈরি এস্রাজ। যন্ত্রটি সেতার ও সারঙ্গীর মিশ্রণে উদ্ভূত বলে ধারণা করা হয়। এস্রাজ ছড় বাজিত যন্ত্র। এতে ঘোড়ার লেজের চুল সংযোজিত। এস্রাজ বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত ছিল। এর মিষ্টি সুর হৃদয়গ্রাহী। সরাসরি লোকবাদ্যভুক্ত না হলেও এস্রাজ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় যন্ত্র। রবীন্দ্রসংগীতের সংগে এস্রাজের বাদন প্রায় আবশ্যিক।

বেহালা সুপরিচিত পাশ্চাত্য যন্ত্র। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে ইতালির সুনিপুণ যন্ত্রীরা বেহালাকে তার বর্তমান রূপে উন্নীত করেন। এর তার চারটি। মানুষের কণ্ঠস্বরের মত সুরেলা এর আওয়াজ। অষ্টাদশ শতকে পাশ্চাত্য সংগীতে অর্কেস্ট্রার মুখ্য যন্ত্ররুপে ভায়োলিন প্রতিষ্ঠা পায়। বণিকদের সংগে পশ্চিমা দেশ থেকে এটি ভারতে আসে এবং বেহাল হিসেবে তা পরিচিত হয়। যন্ত্রটি এতোটাই জনপ্রিয় যে গ্রামে লোকগানের আসর থেকে শুরু করে নাগরিক গানের সভা, শাস্ত্রীয় সংগীতসহ সবক্ষেত্রেই বেহালাবাদক অপরিহার্য হয়ে ওঠেন। বেহালা এখন বাংলাদেশের নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র হিসেবে পরিগণিত।

সারঙ্গী তত শ্রেণীর প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র। অনেকের মতে, পারস্য ভাষায় 'সেহ' অর্থাৎ তিন এবং 'রংগিভ' অর্থাৎ রঙিন শব্দ থেকেই সারঙ্গী শব্দের উৎপত্তি। আবার সংস্কৃত 'সার' ও 'অঙ্গ' মিশে সারঙ্গী নামকরণ করা হয়। অতীতে সারঙ্গী গ্রামীণ বাদ্যযন্ত্র হিসেবে জনপ্রিয় ছিল। প্রায় ৫শ বছর ধরে গীতানুগামী সভাযন্ত্র হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমান শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকে সারঙ্গী একক বাদনযন্ত্র হিসেবে উচ্চাঙ্গসংগীতের আসরে প্রতিষ্ঠিত। অনেকে এটিকে পিনাকী বীণারই রুপান্তর বলে মনে করেন। কেউ কেউ সারঙ্গীকে সারংগবীণাও বলে থাকেন।

তবলা এবং বায়া এই উপমহাদেশের সংগীতে ও নৃত্যে- কি ধ্রুপদী, কি লৌকিক, সর্বাপেক্ষা পরিচিত যন্ত্র। তবলা ও বায়ার জন্মস্থান ও কাল নিয়ে সঙ্গীতবিদ এবং গবেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে বলা যায়, যুগ্ম বাদ্যযন্ত্রটি পাখোয়াজ থেকে উদ্ভূত। গল্পচ্ছলে বলা হয়, অষ্টাদশ শতকে মোগল বাদশাহ মোহাম্মদ শাহর আমলে তার দরবারে দু'জন পাখোয়াজ বাদক চরম বাকযুদ্ধে মেতে উঠেন। তাদের একজন সিদার খা তলোয়ারের আঘাতে এক কোষবিশিষ্ট পাখোয়াজ দুই টুকরা করে দেন এবং সেই থেকে তবলা ও বায়ার ধারণা তৈরি হয়। আঠারোশ' শতকের শেষের দিকে খেয়াল গানের উদ্ভব হয়। পারস্যের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ ও কবি আমির খসরু নতুন রীতির গানের জন্য উপযুক্ত আরো সূক্ষ্ম ও সুরেলা সংগত হিসেবে তবলা ও বায়ার প্রবর্তন করেন। নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই বাদ্যযন্ত্র আমাদের সংগীতের আসরে স্থান করে নিয়েছে। তবে একথাও বলা যেতে পারে, বাংলার লোকগীতির ক্ষেত্রে তবলা ও বায়া আগন্তুক বাদ্যযন্ত্র।

ফ্লুট শুষির শ্রেণির যন্ত্র। অর্কেস্ট্রায় এর বাদনও প্রচলন বেশি। মোহন বাঁশির সুর মাধুর্য তুলনাহীন। এমন সুমধুর ঝংকার আর কোন বাঁশিতে পাওয়া যায় না বলেই এর নাম রাখা হয়েছে 'মোহন বাঁশি'।

মুরলী বাঁশির প্রচলিত নাম আড়বাঁশি। লোকজ সংগীতে অনুগামী হিসেবে এবং রাগ সংগীতে এ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। আড়াআড়ি করে বাজাতে হয় বলে এর আরেক নাম আড়বাঁশি।

তুবড়ী বা বীণ শুষির শ্রেণির লোকযন্ত্র। লাউ ও বাঁশের নলযুক্ত দ্বিনলা বাঁশি। ফু দিয়ে বাঁশিটি বাজাতে হয়। বাঁশির বিশেষত্ব হল, বাদকের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাঁশির ধ্বনির রকমফের হয় না। সাপখেলায় সাপুড়েরা এই বাঁশি ব্যবহার করেন।

সাধারণ অর্থে বেণুকে বাঁশি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু যন্ত্রকোষ হিসেবে এটি পৃথক বাদ্যযন্ত্র বা মিশরীয় 'নে' বাদ্যযন্ত্রের সংগে সাদৃশ্যপূর্ণ। সেদেশের দরবেশ-ফকিরদের ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র হলেও ভারতবর্ষে এ ধরণের যন্ত্রের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।

রোবানা তত শ্রেণির লোকবাদ্যযন্ত্র। রোবানার আওয়াজ দোতারা ও স্বরাজের চেয়ে বেশি গম্ভীর। লোকজ গানে, বৈষ্ণব ও বাউলগীতে এর প্রচলন রয়েছে। তবে চটুল নয়, বিলম্বিত লয়ের গানে এর ব্যবহার বেশি। রবারের অনুকরণে এটি তৈরি বলে ধারণা করা হয়। হয়তো এই রবারের নামের সংগে মিলিয়ে একে 'রোবানা' বলা হয়।

স্বরাজ তত শ্রেণীর গ্রামীণ বাদ্যযন্ত্র। দোতারার মত কাঠের তৈরি হলেও অপেক্ষাকৃত ছোট। গ্রামের লোকজ সব ধরনের সংগীতে এর ব্যবহার প্রচলিত। শুধু এই যন্ত্র ব্যবহার করেই যে কোন লোকজ গান পরিবেশন করা যায়, অন্য বাদ্যের প্রয়োজন হয় না।

সুর সংগ্রহ তত শ্রেণির লোকজ বাদ্যযন্ত্র। সুর সংগ্রহ যন্ত্রটি দোতারা বা স্বরাজের মত। আওয়াজ মিষ্টি ও গম্ভীর হওয়ার কারণে যন্ত্রটি লোকপ্রিয়। লোকজ গানে এটি বেশি ব্যবহৃত। সুর সংগ্রহ বাদক এখন আর খুব বেশি নেই।

চিকারা বাংলাদেশের লোকসংগীতে ব্যবহৃত সরল তত যন্ত্র, যা সারিন্দার মতো ছড় দিয়ে বাজানো হয়। ভারতের প্রদেশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশেও এর প্রচলন আছে।

পিতলের তৈরি বাঁশি জাতীয় যন্ত্র ট্রাম্পেট। প্রাচীনকালে মিসর, গ্রীস ও নিকট প্রাচ্যে ট্রাম্পেট সংকেত, শিকার, রাজাদেশ ঘোষণা ও যুদ্ধে ব্যবহার করা হতো। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে জার্মানিতে ট্রাম্পেট বাদ্যযন্ত্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং এর জন্য বিশেষ মিউজিক্যাল পিস রচনা করা হয়। উনিশ শতকে ট্রাম্পেট অর্কেস্ট্রা ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের নানা পল্লী উৎসবে, শোভাযাত্রা, ব্যান্ডপার্টি, যাত্রাপালা ও পার্বণে ট্রাম্পেট বাজানো হয়।

স্বরনাই শুষির শ্রেণির মাঙ্গলিক বাদ্যযন্ত্র। এটি আগে দেবমন্দির ও রাজপ্রাসাদে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে বিবাহ ও মাঙ্গলিক উৎসবাদিতে ব্যবহৃত হয়।

কর্নেট শুষির শ্রেণির সামরিক বাদ্যযন্ত্র। এটি সাধারণত সামরিক ব্যান্ডে ব্যবহৃত হয়। কেউ কেউ শখেও কর্নেট চর্চা করেন। কর্নেট বাজানো বেশ কঠিন। এটি বাজাতে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করতে হয়। বাংলাদেশের নানা পল্লী উৎসব, শোভাযাত্রা, ব্যান্ডপার্টি, যাত্রাপালা ও পার্বণে কর্নেট বাজানো হয়।

ক্ল্যারিনেট শুষির শ্রেণির ঐকতান বাদ্যযন্ত্র। এটি একক যন্ত্র হিসেবে বাজানো হয়। যন্ত্রটি ইউরোপীয় হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন রয়েছে অনেক আগে থেকে। পশ্চিমা দেশে অর্কেস্ট্রায় ও ব্যান্ডে ক্ল্যারিনেট ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের নানা পল্লী উৎসব, শোভাযাত্রা, ব্যান্ডপার্টি, যাত্রাপালা ও পার্বণে ক্ল্যারিনেট বাজানো হয়।

সানাই দুটি রিডযুক্ত ওবো গোত্রের শুষির শ্রেণির বাদ্যযন্ত্র। লম্বায় এটি প্রায় দেড় ফুট। পারস্য উপমহাদেশ 'সুরনা' থেকেই উত্তর ভারতে প্রচলিত সানাইয়ের উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, সানাই হচ্ছে সাপুড়েদের ব্যবহৃত 'পুঙ্গির' একটি উন্নত সংস্করণ। সানাই মাঙ্গলিক বাদ্যযন্ত্র। এর সুরে করুণভাবের উপস্থিতি লক্ষণীয়। বাংলাদেশ ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ও নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে সানাই বাজানো হয়। রাজপ্রাসাদে আগে নিয়মিত সানাই বাজানো হত। লৌকিক উৎসবে এখনো সানাই প্রচলিত। বিসমিল্লাহ খাঁ (১৯১৬-২০০৬) সানাই বাদনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভূ। লোকবাদ্য হিসেবে প্রচলিত যন্ত্র সানাইকে আনুষ্ঠানিক সংগীতসভার মঞ্চে উপস্থাপন ও সুধী সমাজে একে জনপ্রিয় করে তোলার একক কৃতিত্ব তাঁরই। বিসমিল্লাহ খাঁ ১৯৩৭ সালে কলকাতার অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে সানাই বাজিয়ে সংগীতমোদীদের কাছে যন্ত্রটিকে নতুনভাবে পরিচিত করান। ১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে বিসমিল্লাহ খাঁ সানাইয়ে রাগ কফি পরিবেশন করে মুগ্ধ করেছিলেন সারা ভারতবাসীকে।

বিউগল শুষির শ্রেণির সমরবাদ্য। ফুঁ দিয়ে এটি বাজাতে হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের সামরিক বাহিনীর ব্যান্ডে এই যন্ত্র বাজানো হয়।

এমসি কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রার্থীতা দাস পুরকায়স্থ পিমা ও সূর্য্যা দে সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখানে প্রদর্শিত অনেক বাদ্যযন্ত্রের নাম আমরা জানতাম না, কখনো শুনিই নি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের নাম জানতে পারলাম, এসব যন্ত্রের সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আমাদের সংস্কৃতিকে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এ রকম উৎসব প্রতি বছর সিলেটে হলে খুব ভালো হয়। সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা একটা চর্চার মধ্যে থাকতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত