রাঙামাটি প্রতিনিধি

১২ এপ্রিল, ২০১৭ ১৩:২২

পাহাড়ে শুরু ‘বৈসাবি’ উৎসব

পাহাড়ে শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নববর্ষ বরণের উৎসব 'বৈসাবি'র মূল আনুষ্ঠানিকতা। বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে চেঙ্গী নদীতে কলাপাতায় ফুল আর দুর্বা ভাসানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় তিন দিনের এ উৎসব।

ভোরে চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুরা চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো ও ফুল পূজার মাধ্যমে উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। বিগত বছরের দুঃখ-কষ্টকে বিদায় জানান তারা ফুল ভাসিয়ে। সেই সাথে রত হন প্রার্থনায়।

মূলত চৈত্রের শেষ দু'দিন আর বৈশাখের প্রথম দিন 'বৈসাবি'র আনুষ্ঠানিকতায় মুখর হয়ে থাকে পাহাড়। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে বসবাসরত পাহাড়ি আদিবাসীদের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব 'বৈসাবি' শুরু হলো।

'বৈসাবি' শব্দটি এসেছে ত্রিপুরা 'বৈসু', মারমা সাংগ্রাই', চাকমা 'বিজু' ও তঞ্চঙ্গ্যার 'বিসু' শব্দ থেকে। পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় এই উৎসবের মধ্য দিয়ে। প্রতিবছর এ উৎসব পালন করা হয় বাংলা বছরের শেষ দু'দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বা পহেলা বৈশাখে।

বর্ষবরণ উপলক্ষে এ বছর খাগড়াছড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদ, সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, মারমা ঐক্য পরিষদ, মারমা উন্নয়ন সংসদ, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলাসহ সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত