২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:৩৭
বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই হল ভর্তি দর্শক। নাটকের নাম ঘোষণার সাথে সাথে মৃদু আলোয় মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে একজন লোক। যিনি কিনা বিকলাঙ্গ। একই সাথে একটি হাত ও একটি পা বাকানো। দর্শকদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিকলাঙ্গ লোকটি বলতে থাকে তাঁর দীর্ঘ জীবনে টিকে থাকার সংগ্রামের কথা।
উপস্থিত দর্শককে জানিয়ে দেয় জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করতে করতে শুধু বিকলাঙ্গের অভিশাপ তাঁকে কি ভাবে নিয়তির কাছে পরাজিত করেছে। বিকলাঙ্গের অভিশাপ কি ভাবে তাঁকে পদে পদে উপেক্ষিত করেছে। তাই বিকলাঙ্গের অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য লোকটি তাঁর নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে এমনই এক গল্প ফুটে ওঠে থিয়েটার সিলেটের নাটক "একটি দীর্ঘশ্বাসের ডাল পালা"-তে।
নাসরীন জাহানের গল্প অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন সুফি সুফিয়ান। নির্দেশনা দিয়েছেন কামরুল হল জুয়েল।
'একটি দীর্ঘশ্বাসের ডালপালা' নাটকে থিয়েটার সিলেটের নাট্যকর্মীরা তুলে ধরে একজন বিকলাঙ্গ মানুষের জীবনে টিকে থাকার গল্প। যে গল্পে ফুটে উঠে বিকলাঙ্গের অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য একজন মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম। বুঝিয়ে দিতে চায় একজন বিকলাঙ্গ মানুষ দৈহিক ভাবে বিকলাঙ্গ হলেও তার মস্তিষ্কের শক্তি দিয়ে তৈরি করতে পারে নতুন কিছু।
"একটি দীর্ঘশ্বাসের ডালপালা" নাটকের নির্দেশক কামরুল হক জুয়েল বলেন, আমরা আমাদের এই নাটকের মাধ্যমে একজন বিকলাঙ্গ মানুষের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছি একজন বিকলাঙ্গ মানুষের ভেতরকার কষ্ট। আমাদের এই পরিবেশনায় যদি বিকলাঙ্গ মানুষের প্রতি দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গি সামান্যতম বদলাতে পারে, আমাদের এই পরিবেশনা যদি দর্শকদের সামান্যতম ভালো লেগে থাকে তাহলেই আমরা সার্থক।
একটি দীর্ঘশ্বাসের ডালপালা নাটকের সহকারী নির্দেশনা দিয়েছেন সুতপা বিশ্বাস পল্লবী। আবহসংগীত করেছেন রাফি ইসলাম।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কামরুল হক জুয়েল, সুতপা বিশ্বাস পল্লবী, গোলাম মাহদি, মিনহাজুল আবেদীন সৌরভ, হাবিবুর রহমান রাব্বি, বাহাউদ্দিন নাসিম, সুপান্ত রায় শুভ, আবদুল্লাহ আশরাফ সাদ প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য