নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মার্চ, ২০১৮ ২০:১২

সম্মিলিত নাট্য পরিষদের বিশ্ব নাট্যদিবস উদযাপন

‘বিশ্ব নাট্যদিবস-২০১৮’ উদযাপন করেছে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট।

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৫টায় রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়াম থেকে শুরু হওয়া বাদ্য- বাঁজনা আর রঙ্গিন সাজে সজ্জিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পথে পথে নাটকের গান ও বাউল গান করেন নাট্যকর্মীরা।

শোভাযাত্রা শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু। নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় বিশ্ব নাট্য দিবসের জাতীয় বাণী পাঠ করেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ইন্দ্রাণী সেন শম্পা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রাক্তন প্রধান পরিচালক ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, প্রাক্তন পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ, বর্তমান প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, প্রাক্তন পরিচালক ও সভাপতি নিরঞ্জন দে যাদু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাছিত শেরো।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনীর, জহির খান লায়েক, বাবুল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, রতন দেব, সুমিত শ্যামজন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সুপ্রিয় দেব শান্ত, নির্বাহী সদস্য শান্তনু সেন তাপ্পু, তন্ময় নাথ তনু প্রমুখ।

আনন্দ শোভাযাত্রায় নাট্য পরিষদের অন্তর্ভুক্ত দলসমূহের সংগঠক ও সদস্যবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী মাহিদ আল সালামকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাতিল করা হয়।

বিশ্বনাট্য দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- নাট্যান্দোলন সব সময় গণতন্ত্র ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সকল অন্যায় ও দুঃশাসন, জুলুম, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে নাটক। নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ায় নাট্যকর্মীরা। নাটকের মাঝে জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। নাটক একদিকে আমাদের শিল্পবোধ প্রকাশের মাধ্যমে অন্যদিকে প্রতিবাদের ভাষা।

তারা আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিল্পের ক্ষেত্রে প্রতিদিন নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন হচ্ছে। সকল বাঁধা ভেঙ্গে নাট্যকর্মীরা এগিয়ে চলছে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। স্বাধীনতার শত্রুরা, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সুযোগ পেলেই আঘাত হানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নাট্যকর্মীরা বিশ্বাস করে আমরা আছি ন্যায়ের পথে এবং সাহস বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নিয়ে।

বক্তারা বলেন, বিশ্বে বিবেক ও সমাজ জাগ্রত হয় নাটকের মাধ্যমে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত