সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৪:৫২

কাব্য বিলাস নাট্য উৎসবের সমাপ্তি

‘মনের আয়না দেখতে নাটক হল পথ’ এ স্লোগানে পর্দা নামলো কাব্য বিলাস নাট্য উৎসব ২০১৯ এর। দশটি দলের অংশগ্রহণ ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হল তিনদিন ব্যাপী এ নাট্য উৎসবের।

শিশু-কিশোর নাট্য সংগঠন কাব্য বিলাস নাট্যগোষ্ঠী নিজেদের ১২ বছরপূর্তি উপলক্ষে ঢাকার ১০টি  দলের নাটক নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিলো এ সাংস্কৃতিক উৎসবের।

২১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পথনাটক দিয়ে শুরু হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) মন বিলাস নাট্য দলের নাটক ফুঁ দিয়ে শেষ হয় কাব্য বিলাস নাট্য উৎসব। উৎসবে ১১টি বিভাগে এগারোজন গুণী ব্যক্তিকে ‘গুণীজন সম্মাননা’ জানানো হয়।

উৎসবে অংশগ্রহণকারী ১০টি সংগঠন হলো- থিয়েটার ভুবন, উত্তরা, কুসুমকলি থিয়েটার, নাট্যভূমি, মন বিলাস নাট্য দল, নন্দন (নাট্য সংগঠন), আইডিয়াল থিয়েটার, মাইম আর্ট ইউনিট, কাব্য বিলাস নাট্য গোষ্ঠী, প্রত্যাশা নাট্য দল, হিড়িক নাট্য গোষ্ঠী ও রূপান্তর নাট্য দল নাটক প্রদর্শন করে।

এছাড়া নাট্য উন্নয়নে সম্মেলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তরার সভাপতি মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসলাম শিহির, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গীতাঞ্জলী ললিতকলা একাডেমীর পরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু, মানবাধিকার রক্ষায় জাপান-বাংলাদেশ হিউমেন রাইটসের মহা সচিব আমিনুল ইসলাম, আবাসন উন্নয়নে জীবন কৃষ্ণ সাহা, কৃষি রপ্তানিতে ড. মো. রফিকুল ইসলাম লিটন (সিআইপি), সাংবাদিকতায় আবুল কালাম আজাদ, কাব্য বিলাস নাট্যগোষ্ঠী উন্নয়নে খুকু বিশ্বাস ও শিক্ষায় অবদানে মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

দলের পক্ষে দল নেতা মুসা আহমেদ জানান, কাব্য বিলাস ২০০৪ সালের ৮ মে ‘প্রতিভার প্রতীক্ষায় নতুনের জয় গান’ এই স্লোগানে নাট্যচর্চা শুরু করে। ১৩ বছরের এই পথ চলায় এটা কাব্য বিলাস এর পঞ্চম নাট্য উৎসব। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নাটক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আগামীতেও এমন নাট্য উৎসব আয়োজনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত