নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ২৩:১৩

লিটল থিয়েটারের ‘ভাইবে রাধারমণ’ মঞ্চস্থ

শুক্রবার মঞ্চে রঙ্গমালা গীতিনাট্য

বিগত শতাব্দীর অনন্য সাধক কবি রাধারমণ দত্ত। ব্যক্তি ও সাধক রাধারমণ দত্তকে উপজীব্য করে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় মঞ্চস্থ হলো ‘ভাইবে রাধারমণ’।

বৃহস্পতিবার সম্মিলিত নাট্য পরিষদের মহান একুশের আলোকে ১৪ দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনীর ৪র্থ দিন ‘লিটল থিয়েটার, সিলেট (লিথিসি)’র প্রযোজনায় গীতনাটকটি মঞ্চস্থ হয়।

‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো, আমি বুক চিরিয়া’ অথবা ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া, শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে, অঙ্গ যায় জ্বলিয়া রে’- এমন কয়েক হাজার দেহতত্ত্ব, ভক্তিমূলক, অনুরাগ, প্রেম, ভজন, ধামাইল গানের রচয়িতা রাধারমণ দত্ত একজন সাধক কবি, বৈষ্ণব বাউল ও ধামালি নৃত্যের প্রবর্তক। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে (১২৪০ বাংলা) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাধারমণ দত্ত।

পরবর্তীকালে বৈষ্ণব মতাবলম্বন করেন এবং কঠিন সাধনায় মগ্ন হন তিনি। তাঁর দীর্ঘ সাধনার বহিঃপ্রকাশই এই গানগুলো। শতাধিক শিষ্য ও হাজারো ভক্ত-অনুগ্রাহী রেখে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে (১৩২২ বাংলা) তিনি পরলোকগমন করেন। জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওরের পাশে তাঁর গড়ে তোলা আশ্রমেই তাঁকে বৈষ্ণব রীতি অনুযায়ী চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

রাধারমণ দত্তের জীবন কাহিনী নির্ভর ‘ভাইবে রাধারমণ’ নাটকের রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তানভীর নাহিদ এবং পরিকল্পনা ও প্রয়োগ করেছেন আব্দুল কাইয়ুম মুকুল। নাটকের সংগীত পরিচালনা করেছেন বাউল সূর্য লাল দাশ ও নৃত্য পরিচালনায় আছেন নৃত্য শিক্ষক নীলাঞ্জনা জুঁই।

মানুষ রাধারমণ থেকে সাধক রাধারমণ হয়ে ওঠার কাহিনীই এ নাটকের মূল উপজীব্য।

আগামীকাল শুক্রবার একই মঞ্চে মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে রঙ্গমালা গীতিনাট্য। প্রায় পাঁচশত বছরেরও বেশি পুরাতন সিলেট গীতিকার পুথি অবলম্বনে তৈরি রঙ্গমালা গীতিনাট্য। ঢপযাত্রা শ্রীহট্টে আদি নাট্যধারা। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর অনুসারীরা প্রায় আটশত বছর আগে এই ধারার প্রচলন করেছিলেন। বিলুপ্ত পায়ে এই নাট্যধারাকে সময়ের গতিধারায় বিন্যাস করে সিলেট গীতিকা পুথি অবলম্বনে রঙ্গমালা নাটকটি রচনা করেন নাট্যকার বিদ্যুৎ কর। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার ছন্দবদ্ধ সংলাপ, গান ও নাচের সমন্বয়ে নাটকটি সাজানো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত