নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মার্চ, ২০১৯ ২২:৪১

‘এই পিরিতি সেই পিরিতি নয়’ নাটকে মুগ্ধ দর্শক

‘হায় শুনেন শুনেন ভাই বোনেরা শুনেন কানও দিয়া, এমন দুঃখের কথা কইব ফাইটা যাবে হিয়া। নেতারা সব খেলা করে জনগনরে নিয়া। যত নেতা বল খেতা বল মন্ত্রী মনিষ্টার, জনগনের কান্দে ধইরা হইয়া যায় যে পার।’

কবিয়ালের এই গানের কথা ও সুরে নাটকের শুরুতেই দর্শক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। কেউ হাসছেন, কেউ মাথা নাড়িয়ে গানের কথায় সম্মতি দিচ্ছেন।

এভাবেই শুরু হয় খোয়াই থিয়েটারের নাটক ‘এই পিরিতি সেই পিরিতি নয়’। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের চিরাচরিত রুপ বদলানো আর এসব বিষয়ে সাধারণ জনগনের ভূমিকা নিয়ে তৈরি করা নাটকের মূল সারমর্ম দর্শকদের বুঝতে বেশি সময় লাগেনি। চটকদার ডায়লগ ও জনপ্রিয় সব গানের প্যারোডিতে নাটকের ৩০ মিনিটই ছিল সরগরম। মঞ্চের উত্তাপ ছড়িয়ে পরে অডিয়েন্সও। প্রতিটি ডায়লগ, প্রতিটি গানে সাড়া দিয়েছেন দর্শক।

 

 

বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে হবিগঞ্জের নাট্য সংগঠন খোয়াই থিয়েটার মঞ্চস্থ করে নাটক ‘এই পিরিতি সেই পিরিতি নয়’।

সিলেট কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে মঞ্চস্থ এই নাটকের কলাকুশলীদের অভিনয়ে মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শকরা।
গোলাম শফিকের রচনা ও ইয়াসিন খানের নির্দেশনায় এই নাটকটি খোয়াই থিয়েটারের ৮ম প্রযোজনা। আজ ছিল নাটকের ৭৫৭ তম মঞ্চায়ন। ৯০এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আনে খোয়াই থিয়েটার।

নাটকের অভিনয়ে ছিলেন, নির্দেশক ইয়াসিন খাঁ, মুক্তাদির এইচ, শেখ ওসমান গনি রুমী, হারুনুর রশিদ স্বপ্নীল, লিটন, সাকি। গানের দলে ছিলেন ফরহাদ চৌধুরী, স্বারং খান. এবং তাল যন্ত্রে সুজন বণিক।

 

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত