নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:১৬

আনন্দলোকের রবীন্দ্রস্মরণ

বাইশ শ্রাবণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম মহাপ্রয়াণ দিবসে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দলোক গানে-কবিতায় স্মরণ করেছে রবীন্দ্রনাথকে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র স্মরণে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। তিনি বলেন, রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির সাধনার ধন। সংস্কৃতির চিন্ময় ফসল হলো রবীন্দ্রনাথের গান। রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের মননের সঞ্চালক। তাঁর গানের সুর ও বাণী আমাদের অনির্বচনীয় আনন্দলোকের প্রবেশাধিকার দেয়। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনে সত্য ও সুন্দরের ফলগুধারার মতো বহমান।  সমগ্র বাঙালির হৃদয়ে এবং বাংলা সাহিত্যজগতে হিমাদ্রির মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন এক অলৌকিক ঐশ্বর্য নিয়ে। বাঙালির সমৃদ্ধ ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতির বহুলাংশ জুড়েই আছেন ধীমান পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আনন্দলোকের পরিচালক রানা কুমার সিনহার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় ‘সমুখে শান্তি পারাবার’, ‘তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে’, ‘বজ্রমানিক দিয়ে গাঁথা’, ‘আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে’ গানগুলি। এরপর একক কণ্ঠে জলি দে ‘পথে চলে যেতে যেতে’ , রুবি বেগম ‘ওগো সাঁওতালি ছেলে’,  সংহিতা দেবী ‘ গোধুলী গগনে মেঘে’, বিজয় দাস ‘ আজি বরিষণ মুখরিত’, রাগিনী সিনহা ‘ ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’, বিপ্রেশ দাশ ‘ আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’ নিবেদন করে।
আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন প্রতীক এন্দ, অনিমষে বিজয় চৌধুরী, আবৃত্তিতে নন্দিতা দত্ত, সৃকান্ত গুপ্ত, আবু বকর আল আমিন।

যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায়: তাওরেম রাতুল, কী-বোর্ডে: জুয়েল চক্রবর্তী, গীটারে: স্বপন খান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত