নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৮:৫২

শাবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন KIN’র যুগপূর্তি উৎসব


হাঁটি হাঁটি পা পা করে এক যুগ পার করল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কওঘ। এ উপলক্ষে KIN-এর স্বেচ্ছাসেবীরা শাবিপ্রবি-র অর্জুনতলায়  দুইদিন ব্যাপী ‘KIN-র যুগপূর্তি উৎসব’-নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি KIN তার পথচলা শুরু করেছিল, সেই প্রতিজ্ঞা পালনের এক যুগ পূর্ণ হল আজ। স্বেচ্ছায় রক্তদান, দরিদ্র ও অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সাহায্য, KIN School এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এ চারটি ক্ষেত্র নিয়েই আজকের কওঘ।

দুইদিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার ছিল KIN এর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, এক কিলোতে আনন্দ র‌্যালী ও KIN School-এর শিক্ষার্থীদের করা হস্তশিল্প ও হাতে আঁকা ছবির প্রদর্শনী।

আনন্দ র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আমিনুল হক ভুঁইয়া, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হকসহ আরও অনেকে।

KIN এর এক যুগপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আমিনুল হক ভুঁইয়া বলেন, “KIN অর্থ আত্মীয় এবং এ সংগঠনটি ক্যাম্পাসের সবার আত্মীয়। এ আত্মীয়তার আন্তরিকতায় পূর্ণ সংগঠনটি এক যুগ ধরে অসহায়, অশিক্ষিত, সুবিধাবঞ্ছিত মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে এই আশা রাখি”।
প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে মানুষের জন্য কাজ করা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু এই কঠিন কাজটিই এক যুগ ধরে করে আসা এই সংগঠনটির জন্য রইল অনেক শুভকামনা। এক যুগ নয়, একদিন এক শতাব্দী পার করবে KIN, এটাই প্রত্যাশা। এছাড়াও সংগঠনটির সভাপতি মাকসুদুর রহমান মুন্না বলেন, “এক যুগ দীর্ঘ এ পথচলায় যেসকল পথপ্রদর্শক ও শুভানুধ্যায়ী আমাদের পাশে ছিলেন তাদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও আশা করি আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন”।

‘কওঘ-র যুগপূর্তি উৎসব’-এর দ্বিতীয়দিন ৩০ জানুয়ারি, শুক্রবার থাকছে সকাল ৯ টায় সিনিওর বনাম জুনিওর ফুটবল ম্যাচ, বেলা ১১ টায় পিঠা উৎসব, বিকাল সাড়ে ৩টায় মিনি অডিটোরিয়ামে KIN School-এর শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সবশেষে সন্ধ্যা ৭ টায় ক্যাম্পফায়ার।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত