সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৪০

ঢাবির বুক চিড়ে মেট্রোরেল নয়: রুট বদলানোর দাবী

অতিরিক্ত দূষণ থেকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত রেখে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে নির্মিতব্য মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
 
আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে টিএসসি এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। 

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিলও করেন। মিছিলটি টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয় অপারাজেয় বাংলা ও কলাভবন ঘুরে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিড়ে মেট্রোরেল গেলে একদিকে ঐতিহ্যবাহী কার্জন হলসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা হুমকির মধ্যে পড়বে, অন্যদিকে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ এবং ভিড়ে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। তাই নির্মিতব্য মেট্রোরেলের শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত যে রুট তা পরিবর্তনের  বিকল্প নেই।

তারা বলেন, আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই। রাজধানীর যানজট নিরসনের স্বার্থে মেট্রোরেল হোক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়ে যখন নিয়মিত মেট্রোরেল চলাচল করবে, তখন তার পরিবেশের অবস্থা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়। 

তাছাড়া দোয়েল চত্বরে একটি স্টেশনও করা হবে। যে স্টেশন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হাইকোর্টসহ পুরান ঢাকার অধিকাংশ মানুষই ব্যবহার করবেন। তাই অতিরিক্ত ভিড়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ একদমই থাকবে না। তাই আমরা চাই শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত প্রস্তাবিত রুটটি পরিবর্তন করা হোক।

এদিকে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহ  ও গণসংযোগ কর্মসূচি হাতে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্বাক্ষর সংগ্রহ শেষে তা স্মারকলিপি আকারে জমা দেওয়া হবে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনের একজন সংগঠক।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পিন্টু রঞ্জন অর্ক, হাসান ইমতিয়াজ, উম্মে তাজরিয়ান, হাসিব মোঃ আশিক প্রমুখ। 

উল্লেখ্য,শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানান রাজু ভাস্কর্যের ভাস্কর শ্যামল সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দিন খান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত