নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:২৯

‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে না দাঁড়িয়ে শিক্ষকের পালিয়ে যাওয়া লজ্জ্বাজনক’

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড: আরিফুল ইসলামের বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার মানববন্ধন ও মিছিল করে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককের শাস্তিসহ ৩ দফা দাবি জানান।

গত ২৩ জানুয়ারি শাবি শিক্ষক আরিফুল ইসলামের গাড়ির ধাক্কার দু'জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান ও ক্যাম্পাসে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন আয়োজন করে শাবি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

লাইব্রেরি ভবনের সামনে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মানববন্ধ শেষে মৌন মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি লাইব্রেরি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মুক্তমঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মুক্তমঞ্চে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, ২৩ জানুয়ারির ঘটনার পর শাবি’র শিক্ষক ড. আরিফুল ইসলাম নিহতের পরিবারকে সাহায্য না করে পালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত লজ্জ্বার।

বক্তারা বলেন, তিনি বলেন,” বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হচ্ছে শিক্ষার্থী হয়ে তা আমাদের জন্য দুঃখের বিষয়। এতো দিন আমরা পর্যবেক্ষণে ছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম শিক্ষক মহোদয় অন্তত তাঁর দায় স্বীকার করবেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। আমরা মানবিক বোধ থেকে আজ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছি।”

বক্তারা সমাবেশ থেকে ৩ টি দাবি জানান। এগুলো হলো- অভিযুক্ত শিক্ষককে শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ পাভেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দিক থিয়েটারের সভাপতি অসাদুজ্জমান নয়ন, ‘মাভৈঃ’ আবৃত্তি সংসদের সভাপতি গিয়াস বাবু, শিকড়ের সভাপতি জেনিফার কাইয়্যুম, জোটের সাবেক আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার প্রমুখ।

সমাবেশে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ পাভেল বলেন, এত বড় একটা দুঘটনার পরও প্রশাসনের উদাসীনতা আমাদের চোখে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাটিকে যে ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

পরে শিক্ষার্থীরা তদের দাবি দাওয়া নিয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়ার কাছে যান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, ধামাচাপা দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এটি একটি দূঃখজনক ঘটনা এবং আমি মর্মাহত। বিষয়টি আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বিষয়টি যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত