শাবি প্রতিনিধি

২৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৯:৫৩

শাবিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ’১৬ এর সমাপ্তি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ’১৬ এর দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের পর্দা নেমেছে সোমবার।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে এই পুরষ্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

পুরষ্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুইয়া। এ

সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, শারীরিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক চৌধুরী সৌউদ বিন আম্বিয়া, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সোমবার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এর দ্বিতীয় দিনে সকল ইভেন্টের ফাইনাল ও শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও অধ্যাপকদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুইয়া জয়ী হন, এছাড়াও শিক্ষক কর্মকর্তাদের রশি টানাটানি প্রতিযোগিতায় উপাচার্যের দল, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দলকে পরাজিত করে।

শিক্ষক কর্মকর্তাদের ইভেন্টের পর পরই পুরষ্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হত। বিভিন্ন ইভেন্টে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারকারীদেরকে পুরষ্কার তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুইয়া।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুইয়া সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্য অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদ ও ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজন। এর সাথে মা-মাটির সম্পর্ক রয়েছে এবং এর মাধ্যমে শরীর গঠন ও সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। তিনি আরো বলেন, শুধু খেলাধুলা নয় বরং ছাত্রছাত্রীদেরকে এর পাশাপাশি লেখাপড়ার প্রতিও মনোনিবেশ করতে হবে।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাধুলা ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সভাপতি এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপ-পরিচালক চৌধুরী সউদ বিন আম্বিয়া।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা অধিদফতর দুইদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়। বার্ষিক ক্রীড়া উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ শিক্ষক কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত