৩৭তম বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে প্রাণিবিদ্যার গ্র্যাজুয়েটদের যুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রসমিতির উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, পূর্বে কেবলমাত্র মাৎস্যবিজ্ঞান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসের মাধ্যমে টেকনিক্যাল কোটায় উপজেলাগুলোতে মৎস্য কর্মকর্তা এবং মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতেন। কিন্তু ৩৭তম বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ছাড়াও প্রাণিবিদ্যার গ্র্যাজুয়েটদের যুক্ত করায় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “প্রাণিবিদ্যার জ্ঞান দিয়ে অবশ্যই মৎস্য(সম্মান) এর সমান সেবা দেয়া সম্ভব হবে না! প্রাণিবিদ্যায় যারা পড়ালেখা করেন তারা শুধু মৎস্য নিয়ে বিশেষায়িত নয়। অপরদিকে মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে বিষদ জ্ঞান অর্জন করে থাকেন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিজ্ঞান অনুষদ এমনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রেই টেকনিক্যাল ক্যাটাগরির বিষয়ের মধ্যে পড়ে না।

কিন্তু দেশে যতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ রয়েছে, সেখানে টেকনিক্যাল বিষয় হিসেবে মৎস্য নিয়ে পড়ানো হচ্ছে এবং তাত্ত্বিক পড়াশুনার পাশাপাশি গবেষণা ও মাঠপর্যায়ে জ্ঞান আহরণ করছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা প্রাণিবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চেয়ে মৎস্যক্ষেত্রে শতগুণ ভালো সেবা দিতে পারবেন।”

দাবি মেনে নেওয়া না হলে, মৎস্যবিজ্ঞান পড়ানো হয় এমন ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলিত হয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে মানববন্ধন থেকে ঘোষনা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা হয়, তখন থেকেই এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তা সংশোধন করা হলেও ৩৭তম বিসিএস(মৎস্য) ক্যাডারে প্রাণিবিদ্যা অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি গভীর ষড়যন্ত্র।”