০৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ০১:২৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাজীব নন্দির বিরুদ্ধে ফেসবুকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ করেছেন উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত এক ছাত্রী । গত ২ জানুয়ারি রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক পোষ্টে এমন অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী ।
তিনি লেখেন- "এই সমাজে যখন একটা মেয়ে যৌণ নিপীড়নের স্বিকার হয় তখন এই সমাজ তার দিকেই
আঙ্গুল তোলে ।তাই দেখা যায় এই সমাজে মেয়েরা নিপীড়িত হতে থাকে আর পশু গুলা
বেচে যায়।কিন্তু একটা সমাজ যখন মেয়েটার পাশে এসে দাঁড়াতে পারে তখন ই এইসব
পশুদের সামনে নিয়ে আসা যায়।এই সমাজ পাশে থাকবে এই প্রত্যাশায় আমি একজন যৌন
নিপীড়কের নাম বলতে যাচ্ছি যে এই সমাজে প্রগতিশীলতার পোশাক পড়ে সারাজীবন
ভন্ডামী আর নোংরামী করেছে।সে কি করেছে তা অনেকেই জানে এবং আমি আমার বেশ
কয়টি লেখায় নাম না উল্লেখ করেও লিখেছি।তবে এখন মনে হচ্ছে নাম না উল্লেখ
করলে আরো একজন মুখশের আড়ালে চলে যায় তাই এই নামটা জানা সবার জন্য প্রয়োজন
মনে করেই লিখছি।
তথাকথিত ফেইসবুক সেলিব্রেটি অর্থাৎ ফেইসবুকের একটি
অন্যতম প্রিয় প্রগতিশীল মুখ,সমাজ পালটানো যার লক্ষ্য এবং চাকরি জীবনে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক #রাজীব নন্দি ।গত ৩০ তারিখ এক কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থী তার দ্বারা যৌন নিপীড়নের স্বিকার হয়েছে ।এবং এ কর্ম সে নিজ মুখে স্বিকার করেছে।
তার কি কি শাস্তি হতে পারে তা নির্ধারণের দায়ভার এখন আপনাদের উপর দিচ্ছি
যারা তিনবেলা সমাজ পরিবর্তনের কথা বলেন। আমার ছোট্ট মাথা আর নিতে পারছেনা।"
এর আগেও ওই ছাত্রী নাম প্রকাশ না করেই ফেসবুকে এ বিষয়ে একাধিক পোষ্ট করেন ।
রাজীব নন্দির মত একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরনে হতবাক হয়ে অনেকেই ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভের কথা ব্যক্ত করেছেন ।
পৌলমী দাশগুপ্ত নামে একজন লিখেছেন - " সুমনা'র (ছদ্মনাম) ঘটনা শোনার পর আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও
সাংবাদিকতা বিভাগের সুশীল শিক্ষক রাজীব নন্দীকে ফোন করে কী কী ঘটনা
ঘটিয়েছে তা জানতে চেয়েছিলাম। সে পুরা ঘটনাই অস্বীকার করলো ( এর খানিকক্ষণ
পরেই অবশ্য ঘটনা যাতে না প্রকাশ পায় এজন্য সে ও তার ভাই পার্থ প্রতীম নন্দি সুমনা বারবার পোস্ট মুছে ফেলার চাপ দেয়।) রাজীব নন্দী এর সাথে
আমাকে এও বলে যে, 'পৌলমী, তোমরা মেয়েরা ইচ্ছে করলে যা ইচ্ছে তা রটাতে পার,
যা ইচ্ছে তাই করতে পার।'
বাহ, চমৎকার রাজীব নন্দী, নিজের অর্ধেক বছর
বয়সী মেয়েটা আপনাকে, আপনার প্রগতিশীলতাকে! বিশ্বাস করে আপনাকে সময়
দিয়েছিল। আর আপনি, ছোট্ট মেয়েটাকে ট্যাক্সিতে জোর করে জড়িয়ে ধরলেন,
চুমু দিতে দিতে প্রেম নিবেদন করে বসলেন। তা কার ইচ্ছাতে ঘটলো বলতে পারবেন?"
অরুনাভ বিলে নামে একজন লিখেছেন- "ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড রাজীব নন্দী । আপনাকে রেসপেক্ট করতাম এই ব্যাপারটা ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে । ছিঃ.. ..আর বরাবরের মতো আবার মানুষ চিনতে ভুল করলাম ।"
রাজীব রাসেল লিখেছেন - "কেউ কেউ যৌন নিপীড়ক রাজীব নন্দী'র শাস্তি দাবি করতে গিয়ে আক্রান্ত মেয়েটির নাম লিখে দিচ্ছেন পোস্টে! দয়া করে এই কাজটা করবেন না। যে আক্রান্ত হয়েছিলো, সেও এই বিষয়টা নিয়ে খুব বিব্রত। সে আমাদের অনেকের অতি পরিচিত বন্ধু, মাত্র দু'মাস পর তাঁর এইচএসসি পরীক্ষা। মেয়েটির মানসিক যন্ত্রনা আর বাড়াবেন না।
প্রতিবাদ হোক। শিক্ষক মুখোশের আড়ালে থাকা এই ধর্ষক সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হোক।"
আপনার মন্তব্য