শাবি প্রতিনিধি

১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:৫০

শাবিতে ছাত্রের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাদ সিদ্দিকী ক্যাম্পাসে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগে ৯ জানুয়ারি সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিভাগের ল্যাব ক্লাস শেষ করে সিনিয়র ও বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুডকোর্টে চা পান করেন। পরে সেখান থেকে লাইব্রেরি বিল্ডিং এর সামনে অবস্থানরত পিঠার দোকানের দিকে যাওয়ার সময় আচমকা এক অপরিচিত ছেলে ডাক দিয়ে সেল্ফি তুলতে চায়। সেলফি তুলতে পারলে নাকি সে ১০০ টাকা পাবে বলে ছেলেটিকে বলতে শোনা যায়।

তিনি লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ছেলেটির কথা না শুনে বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে যান। পরে সে অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করে চলে যায়। পরক্ষণে সে আরও দুইজনকে নিয়ে পিঠার দোকানে এসে পিঠা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খাওয়া শেষ হওয়ার পর টাকা দেয়ার সময় দোকানের মালিক বলেন, তারা পিঠা খেয়ে টাকা না দিয়ে বরং বলে গেছে পিঠার দাম নাকি আপনি দিবেন।

এ ঘটনার পর থেকে নিজের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ছেলেটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে রাহাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এখন আমি বাড়িতে রয়েছি। গত ৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে থাকার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তবে এমন কোনো ঘটনা তিনি ঘটাননি বলে জানান।

শাবির যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক লিখিত অভিযোগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এমনকি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ঘটনাটি সম্পর্কে শাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মুনশী নাসের ইবনে আফজালকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মুনশী নাসের ইবনে আফজাল বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত