রাবি প্রতিনিধি

১৭ মে, ২০১৮ ০১:২৫

উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাবি ছাত্রকে ছাত্রলীগকর্মীর ছুরিকাঘাত

বান্ধবীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রলীগ কর্মী তাকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৬ মে) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত মো. সাইফুল ইসলাম হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সম্প্রতি স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। আহতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ ওঠা ছাত্রলীগ কর্মী মো. হামজা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে হৃদয় ও তার বান্ধবী বসেছিলো। এ সময় হামজাসহ কয়েকজন এসে তাদেরকে উত্যক্ত করে। হৃদয় এর প্রতিবাদ করলে তারা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই হৃদয় তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে গেলে একা পেয়ে হামজাসহ কয়েকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আশেপাশের লোকজন হামজাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় হামজার সঙ্গে থাকা দুজন পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে হামজা দাবি করেন, ‘আমি কাউকে ছুরিকাঘাত করিনি। আমার সঙ্গে আরও দুজন ছিলো। ওরা ছুরি মেরেছে।’ কারা ছুরি মেরেছে জানতে চাইলে সহ-সভাপতি সাদ্দাম ধমক দিয়ে হামজাকে চুপ থাকতে বলেন এবং পরিচয় জানাতে বাধা দেন।

এছাড়া, গত সোমবার শের-ই-বাংলা হলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থীকে মারধর করায় হামজাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকেই হামজার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান সাদ্দাম হোসেন। আর ছুরিকাঘাত কারা করেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের ঘটনা শুনেই আমি আহত শিক্ষার্থীকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আর অভিযুক্তকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে মতিহার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। তাকে থানায় রাখা হয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত