শাবি প্রতিনিধি

০১ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:৫৪

নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি শাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকার শহীদ রামিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে নৌমন্ত্রী এম শাহজাহান খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে তারা লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকায় জাবালে নূর বাসের চাপায় শহীদ রামিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে তাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় নৌমন্ত্রীর শাহজাহান খানের পদত্যাগও দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় এবং এর বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১ আগস্ট) দুপুরে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন শাবি শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন পরবর্তী এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের নিচে আয়োজিত সমাবেশে অংশগ্রহণ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল বলেন, “যে মন্ত্রী নিহতের খবর শোনে হাসতে পারেন, তার পদত্যাগই করা উচিত। প্রশাসন শিগগির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিলে আমরাও তাদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”

তিনি বলেন, “সরকারের খামখেয়ালীপনার কারণে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘটছে, এখন থেকে আমাদের এসবের প্রতিবাদে নামতে হবে। আমরা নিহত দুই শিক্ষার্থীদের সহপাঠীদের নামা আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করছি।”

সমাবেশে সাস্ট সাহিত্য সংসদের সভাপতি শুভম ঘোষ বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা দিনদিন একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। অদক্ষ চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ীর কারণে প্রায়ই মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তাই এগুলোকে দুর্ঘটনা না বলে আমরা হত্যাকাণ্ড বলবো।

তিনি বলেন, ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা গেল। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালো। আমরা এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

সাংস্কৃতিক সংগঠন আজ মুক্তমঞ্চের সভাপতি ঝুমন বলেন, “খবরের পাতায় দুই শিক্ষার্থীর নিহতের খবর দেখে প্রথমে স্বাভাবিক বলেই মনে হলো। কারণ এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন সেদিকে খেয়াল না দিয়ে উল্টো প্রতিবাদে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালো। আমরা রাষ্ট্রের এই দমন-পীড়নের মধ্য থেকে বরে হতে চাই।”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাস্ট সায়েন্স এ্যারেনার সাবেক সভাপতি রিফাত হায়দার, সাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি আমির হামজা, শিক্ষার্থী খৈরম কামেশ্বর, বনি সরকার, প্রণয় কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত