সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০১৮ ১৫:২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’

পারিবারিকভাবে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মুমতা হেনা নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যার পর দুই ঘণ্টা পর একই সেশনের তার প্রেমিক রোকনুজ্জামান আত্মহত্যা করেছেন। উভয়ে ইবির ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দুই ঘণ্টার ব্যবধানে একজন গলায় ফাঁস দিয়ে এবং অপরজন ট্রেনের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে তাদের বন্ধুরা জানান।

নিহতদের সহপাঠীরা জানান, রোকনুজ্জামান ও মুমতাহিনার মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন ধরে মুমতাহিনার পরিবার তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। মুমতাহিনা তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা মেনে নিতে রাজি হয়নি। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুমতাহিনা।

প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর শুনে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রেমিক রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া শহরের মতি মিয়া রেল গেটে ট্রেনের নিচে লাফ দেন। রোকনুজ্জামান প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক শেষ করেছেন। মুমতাহিনাও স্নাতকে প্রথম শ্রেণি পেয়েছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুমতাহিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলমের মেয়ে। রোকনুজ্জামানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তিনি কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলার একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ এমদাদুল হক বলেন, ‘মেয়েটির আত্মহত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

কুষ্টিয়া পোড়াদহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার এক যুবক পোড়াদাহ থেকে ছেড়ে যাওয়া গোয়ালন্দগামী শাটল ট্রেনের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেই ওই দুই শিক্ষার্থীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এদিকে ওই দুই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে শুক্রবার সকালে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও শোক প্রকাশ করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত