সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:০২

জাতীয় শোক দিবসে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ উপলক্ষে 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশ' শীর্ষক এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের গ্যালারি-১ এ আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর এই উন্নতির রূপকার হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে তার আদর্শকে ধারণ করে একসাথে কাজ করতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতে এবং দেশের উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে একদল বিপথগামী সামরিক অফিসারদের হাতে অত্যন্ত নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মহান নেতা, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারকে।

তিনি শ্রদ্ধাভরে সেই মহান নেতা এবং তার পরিবারকে স্মরণ করেন ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বাঙালির জাতীয় জীবনে আগস্ট এক গভীর শোকের মাস উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে উঠা বঙ্গবন্ধু ছাত্র জীবন থেকেই বঞ্চিত মানুষের জন্য কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, মানবিক এবং আদর্শগত যে গুণাবলী রয়েছে তা বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। কিন্তু আমাদের মধ্যে রয়েছেন তারই উত্তরাধিকারিণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুদক্ষ দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সম্ভাবনাময় আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে। মহাকাশে আজ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট দেখা যাচ্ছে। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে উন্নীত হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ অন্যান্য বইগুলিতে সঠিক রাজনীতির মাধ্যমে কিভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায় তার দিকনির্দেশনা রয়েছে। আজকের এই তরুণ শিক্ষার্থীদের এ সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২১ এর মাধ্যমে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে সকল পর্যায়ে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান।

আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী-সাহিত্য, শিল্প, সৃজনশীলতা এবং ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ বিষয়ে আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব শায়েখুল হক চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এস. এম. আলী আক্কাস, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম. হাবিবুল আহসান, লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক কাজী মো. জাহিদ হাসান, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আহমেদ মৌমি এবং কবিতা পাঠ করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদ চৌধুরী।

বক্তারা কল্যাণের পথে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা করেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এডমিশন) মো. কাওসার হাওলাদারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম, পিএসসি। অনুষ্ঠানের শুরুতে লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মো. ফজলে এলাহি মামুন।

অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হান্নান, সৈয়দ সাজ্জাদ আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত