সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৭:১৬

লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পুষ্টি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের উদ্যোগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রাগীব নগরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের গ্যালারী-১ এ ‘এ্যাডেকুয়েসি অব নিউট্রিশন ইন এ ফ্যামিলি’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, গেস্ট অব অনার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স এর প্রফেসর এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরিবারে সুস্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন যাপনের জন্য খাদ্য অভ্যাস, নিউট্রিশন এবং ব্যালেন্স ডায়েট সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগ সমাজে স্বাস্থ্যশিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভূঁইয়াকে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এসে তার মূল্যবান পরামর্শ দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবার হল সমাজের একটা অংশ। তাই সমাজের প্রত্যেকটি পরিবারের সুস্বাস্থ্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে সুখী সমাজ গঠনে। পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যদের নিউট্রিশনে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, অপুষ্টি বা বেশী পুষ্টি কোনটাই ভাল নয়। ব্যালেন্স ডায়েট এবং খাদ্যাভ্যাস সুস্থ শরীর গঠনে সাহায্য করে। কিশোর (১০-১৯ বছর), গর্ভবতী মহিলা এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পুষ্টির পরিমাণ সঠিক রাখা খুবই প্রয়োজন। শুধু ঔষধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে স্থানীয় ফল, শাক, সবজি ও প্রয়োজনমত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। খাদ্যের প্রকারভেদ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি খাদ্য এবং কোন কোন খাদ্য মানব শরীরে পুষ্টির সমতা আনে তা জেনে খাদ্য গ্রহণ করতে পারলে পরিবারে এমনকি সমাজে সুস্থভাবে বসবাস করা যায়।

সর্বশেষে তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের উদ্যোগে সিলেটে একটি পাবলিক হেলথ ফোরাম গঠনের পরামর্শ দেন। যেখানে পাবলিক হেলথ বিষয়ের শিক্ষার্থী, ডাক্তার, নার্সসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। আর এই ফোরাম একটি সুখী সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষক ডা. সাবরিনা ফরিদা চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম পিএসসি। সভাপতিত্ব করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ইনচার্জ) কেএমএ শফিক। এতে লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত