রাবি প্রতিনিধি

২২ অক্টোবর, ২০১৮ ১২:১৫

রাবির ভর্তিযুদ্ধে এক আসনের বিপরিতে লড়ছে ৩১ জন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রকৌশল অনুষদের অন্তর্গত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে এ বছরের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

এ বছর পাঁচটি ইউনিটের আওতায় ৫৯টি বিভাগে কোটাসহ ৪ হাজার সাতশত আসনে বিপরীতে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৩০ হাজার ছয়শত ৫২, ‘বি’ ইউনিটে ২৪ হাজার আটশত ৩, ‘সি’ ইউনিটে ৩১ হাজার ৯, ‘ডি’ ইউনিটে ৩০ হাজার আটশত ৯০ এবং ‘ই’ ইউনিটে ৩০ হাজার তিনশত ৯৬ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে প্রতি আসনে লড়বে ৩১ জন।

দুইদিনব্যাপী এমসিকিউ পদ্ধতির এ পরীক্ষা চলবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান পরীক্ষার হল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য আছে, এখানে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এ বছর পরীক্ষার আগে নানা রকম গুজব ছিলো এটা নিয়ে। আর জালিয়াতি চক্রও এ সময় তৎপর থাকে, তারা একটু ফাঁকফোকর খোঁজে। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের নেই।”

“আর প্রশ্নফাঁসের একমাত্র পথ হলো যারা প্রশ্ন প্রণয়ন করেন, মডারেশন করেন তাদের মাধ্যমে। এরা থাকেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ডিন কর্মকর্তা। তারা নিশ্চয় চাইবেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ণ করতে। তাই প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নাই। আমি পরীক্ষার হলগুলো পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুবই শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা চলছে। আর ৯৫ শতাংশ উপস্থিতি আমরা হলগুলো লক্ষ করেছি।”

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে না জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “আগামী বছর থেকে শুধু ফ্রেস ক্যান্ডিডেট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। আর দ্বিতীয়বার এখানে সুযোগ থাকছে না।”

এ শিক্ষাবর্ষেই এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা শেষ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এ শিক্ষাবর্ষে লিখিত পরীক্ষা শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটা সিস্টেম এতো তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করাটা ঠিক হবে না বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী শিক্ষাবর্ষে লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিবো।”

প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “পরীক্ষাকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ভর্তিপরীক্ষা চলাকালীন অসাধু চক্রের সদস্যদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করছে।”

গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ বছর ভর্তির প্রাথমিক অনলাইন আবেদন পড়ে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৫৬টি। পরে তা থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা ফলের ভিত্তিতে প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫০ জন ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যোগ্যতা অর্জন করে।।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের http://admission.ru.ac.bd/ থেকে পাওয়া যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত