রাবি প্রতিনিধি

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:১১

রাবিতে আমরণ অনশনে ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে একিভূতকরণের দাবিতে ‘আমরণ’ অনশনে নেমেছে ফলিত পদার্থ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

প্রকৌশল অনুষদের সভায় একিভূত হচ্ছে না এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে সোমবার দুপুর থেকে অনশনে বসে তারা। রাত সাড়ে ১২টায় প্রতিবেদন লেখার সময়ও তারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলো।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আন্দোলন স্থগিত করে চলে যেতে বলেন। এরপরও শিক্ষার্থীরা না গেলে রাত ৯টার দিকে সেখানে যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। তবে তখনও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।

এরপর রাত ১০টার দিকে আসেন এপিইই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম নাহিদ। তিনি সেখানে এসে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বললেও শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে না এসে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে বিভাগ একিভূত হবে কি হবে না সে বিষয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরাই তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে।

তাদের একজন এপিইই বিভাগের তামান্না কামাল জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকবো।

এপিইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম আহমেদ বলেন, “আমরা আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য এখানে অবস্থান করছি। যে পর্যন্ত এর ফলাফল বা কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে, ততক্ষণ আমরা এখানে অবস্থান করবো।”

ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান বলেন, “এপিইই বিভাগ অন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। কখনো দুটি বিভাগ এক হতে পারে না। তারা এখান থেকে যায়নি বলেই আমরা এখানে অবস্থান করছি।”

তিনি বলেন, “৫ তারিখে একাডেমিক সিদ্ধান্ত যদি আমাদের বিপরীতে যায়, তবে আমরাও আমরণ অনশনে যাবো। এখন আপাতত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “তাদের দাবি লজিক্যাল কিন্তু তাদেরকে তো ৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটা তো একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত, যেকেউ দিতে পারে না। তবে তাদের নিরাপত্তায় প্রক্টরিয়াল বডিসহ পুলিশ প্রশাসন রয়েছে।”

এর আগে গত ১১ নভেম্বর থেকে বিভাগ দুটিকে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বৃহস্পতিবার প্রকৌশল অনুষদের সদস্যদের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় বিভাগ দুটিকে একত্র করা যাচ্ছে না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, “আগামী ৫ ডিসেম্বর একাডেমিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”




আপনার মন্তব্য

আলোচিত