শাবি প্রতিনিধি

০৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৬:২৩

শাবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রফ্রন্টের বিক্ষোভ মিছিল

অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

রোববার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হন তারা।

১৯৯৭ সালে সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘ ২১ বছর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে সমাবেশে সমালোচনা করেন বক্তারা।

শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক নাযিরুল আযম বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বৈরাচারী ভূমিকার কারণে এই নির্বাচন দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। রাষ্ট্রের সৈরাচারী শাসনের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।’

সংগঠনের সদস্য মঈনুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো তোলার জন্য শিক্ষার্থীদেও মধ্য থেকে একজন প্রতিনিধি থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে সেই প্রতিনিধি নেই। ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলার কেউ নেই। সেই সুযোগে প্রশাসন প্রতি বছর ফি বাড়ায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর শিক্ষকদের নির্বাচন হয়, কর্মকর্তাদের নির্বাচন হয়; কিন্তু শিক্ষার্থীদের হয় না। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কেউ কথাও বলে না। শিক্ষকদের ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের কোন অধিকারের কথা থাকে না।’

ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় এখন আর মেধাবীরা রাজনীতিতে আসছে না বলে মন্তব্য করেন সংগঠনের আরেক সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল। তিনি বলেন, ‘আগে সব মেধাবীরা রাজনীতি করতো। স্বৈরাচার এরশাদ সরকার, পাকিস্তান সরকারের পতন হয়েছিল ঢাকসুর নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে। অথচ আমাদের দেশে এখন রাজনীতি করেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা।’

সমাবেশে সংগঠনের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র বলেন, ‘২১ বছর ধরে শাকসু নির্বাচন না হলেও এতোদিন যাবত ইউনিয়ন ফি আসছে শিক্ষার্থীরা। ইউনিয়ন ফি বাবদ দীর্ঘদিনের জমানো টাকা কোথায় আছে বা কোথায় খরচ হচ্ছে সে ব্যাপাওে আমরা কিছু জানি না। এই টাকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরও অবহিত করছে না প্রশাসন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম শাকসুর নির্বাচন চাই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নৈতিক দাবি-দাওয়া তুলতে পারবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত