সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৫:৪৯

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস সম্মেলন

লিডিং ইউনিভার্সিটির মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত চার দিনব্যাপী সম্মেলন-২০১৯ সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এলইউমুন-১৯ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী এবং ট্র্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর (অব.) মো. শাহ আলম, পিএসসি এবং ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল এর পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

সম্মেলনে এলইউমুন এর ছায়া মহাসচিব (২০১৮-১৯) ইজাজুল হক চৌধুরী এর নেতৃত্বে এবং উপদেষ্টা তাহরিমা চৌধুরী জান্নাত এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আটটি কমিটি অংশগ্রহণ করে যারা বিভিন্ন দেশের ছায়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।

কমিটিগুলো হল- ইউএনএইচআরসি, ইউএনডিপি, ইউএনএসসি, এসসিবিএ, ইউএনইপি, ইউএনউইমেন, আইসিজে এবং আইপি (ইন্টারন্যাশনাল প্রেস) এর  ছায়া কার্যক্রম চলে। এ কমিটিগুলোর মধ্য থেকে ৩৭ জন প্রতিনিধিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এবারের সম্মেলনে ১৮০টিরও বেশী দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ৩২৫ জন প্রতিনিধি, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ভারত ও নেপালের ছিল ১৩ জন প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধিরা এসেছেন দেশ ও বিদেশের ৪৫টিরও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।

এ সম্মেলনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সক্ষমতা, মানবাধিকার, নারী উন্নয়নসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিধানে আলোচনা করেন প্রতিনিধিরা। এবারের সম্মেলনটি পরিচালিত হয় একটি সচিবালয় পরিষদ দ্বারা যার প্রধান ছিলেন একজন মহাসচিব।

এই পরিষদে ছিলেন দুইজন সহকারী মহাসচিব, একজন পরিচালক, একজন কর্মচারী প্রধান, একজন নিরাপত্তা প্রধান, ১৩ জন অধীনস্থ মহাসচিব, ২৩ জন পরিচালক, ২৫ জন সহকারী পরিচালক, ৩ জন উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহক এবং ২২ জন কার্যনির্বাহক।

‘সামাজিক সক্ষমতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনায় বের হওয়া সমাধানগুলোর মধ্যে কিছু নির্বাচিত সমাধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে যা একটি শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে।

একটি মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য এলইউমুন এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ডেলিগেটস এবং অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, এ সম্মেলন থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মজীবনে সফলতা বয়ে আনবে।

তিনি অংশগ্রহণকারী দেশ ও দেশের বাইরের প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে নিরাপদে নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন তা কামনা করেন।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদেরকে অভিবাদন জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কোন কমিটি বেস্ট এওয়ার্ড  বা স্পেশাল এওয়ার্ড পেয়েছেন তা বিষয় নয়, এ থেকে অর্জিত কমিউনিকেশন স্কিলস এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার যে মনোভাব সৃষ্টি হয় তা তরুণ শিক্ষার্থীকে মানবিক গুণাবলীর অধিকারী করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তৈরি হবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন কলাকৌশল যা সুন্দর এবং অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তোলে ধরতে পারবে।

সম্মেলনের সমাপণী অনুষ্ঠানে এলইউমুন এর সদস্যসহ বিভিন্ন কমিটির প্রতিনিধিসহ স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত