সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ মার্চ, ২০১৯ ১৩:২৫

‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৫ জন নির্বাচিত ডাকসুর ইতিহাসে নজিরবিহীন’

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন-যা ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (১১ মার্চ) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরানো হয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া গেলো আজ কুয়েত-মৈত্রী হলে বস্তা ভর্তি সিল মারা ব্যালট।’  

রিজভীর দাবি করেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের যাবতীয় আয়োজন ছাত্রলীগকে অবৈধপন্থায় বিজয়ী করার অনুকূলে। ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বের হতে পারেনি। ডাকসু নির্বাচনকেও কলঙ্কিত করা হয়েছে।’

সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা যাতে ভোট দিতে না পারে সেজন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

রিজভী আরও বলেন, ‘সব হলে হলেই ছাত্রলীগের মহড়া চলছে। এ নির্বাচনের পরিণতি নিয়ে জনমনে সংশয় গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের ভোটের স্মৃতি ডাকসু নির্বাচনেও সাধারণ ছাত্রদেরকেও তাড়িত করছে। এ নির্বাচনে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নাৎসিবাদী গণতন্ত্রের নানারূপ এ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিফলিত হয়েছে।’

৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ১৮টি হলে বলে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র এবং ভোটের সময় বাড়ানোর, স্টিলের ব্যালট বাক্সের বদলে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দাবি করেছিলেন। কিন্তু এসব দাবি নাকচ করা হয়েছে।’

নির্বাচনের দিনের সব ধরনের অনিয়মের প্রমাণ না রাখতে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘১৮টি কেন্দ্রের জন্য টেলিভিশন মাধ্যমের চারটি ইউনিট ও প্রিন্ট মিডিয়ার দু’জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সংবাদ সংগ্রহে কড়াকড়ি বিধি নিষেধ, তথ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। ডিজিটাল বাংলাদেশের উল্লাসে অস্থির ক্ষমতাসীনদের রাজত্বে এখন কী দশা হলো যে মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের ভয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এ রকম বেশ কিছু প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বিরোধীমতের শিক্ষকদের ডাকসু নির্বাচনের কোনও দায়িত্বে রাখা হয়নি। গত কয়েক দিনের সাধারণ ছাত্রদের জোর করে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের হুমকি দিয়ে হলগুলো পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।’

রিজভী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ডাকসু নির্বাচন সরকারেরই নীতি ও নীলনকশা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হচ্ছে কি না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত