শাবি প্রতিনিধি

১৫ মার্চ, ২০১৯ ২২:৩৯

শাবির ‘দিক থিয়েটার’ কর্মীদের মিলনমেলা

দিক থিয়েটারের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত নয় দিনব্যাপী জাতীয় নাট্যোৎসবের পর পুনর্মিলনীর আয়োজন করে আনন্দ-আড্ডায় মিলিত হয়েছেন সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীরা।  

কেউ ক্যাম্পাসে ফিরেছেন ৬/৭ বছর পর, কেউবা ফিরেছেন ১৫/১৬ বছর পর। দীর্ঘদিন ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি নাটক ও মঞ্চের সাথে দিনাতিপাত করা এই সবুজ ক্যাম্পাসে ফিরে স্মৃতির পাতাই রোমন্থিত হচ্ছে কুঁড়ি বছর থেকে নাট্য আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকা এই কর্মীদের।

পুনর্মিলনী উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান কর্মীরা। পরে ১১টায় কেক কেটে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করা হয়। সাদা রঙের টি-শার্টে মার্কারে কালির ছাপ বাড়তি আনন্দের যোগান দেয়।

৭ ও ৫ বছর বয়সী দুই মেয়ে নিয়ে পুনর্মিলনীতে অংশ গ্রহণ করেছেন অঞ্জনা চক্রবর্তী দিপ্তী। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের ১৯৯৭-৯৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

“ পরিবারের সব কাজ ফেলে চলে এসেছি। খুবই ভালো লাগছে। অতীতের দিনগুলোতে ফিওে গেছি। মনে হচ্ছে এই তো কয়দিন আগে ক্যাম্পাসে ছিলাম। সব জুনিয়িরদের সাথে দেখা হয়ে, কথা বলে ভালোই লাগছে।” বলেন তিনি।
দিকের সাবেক কর্মী ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের শিক্ষার্থী খাদিজা সাবরিনা। বর্তমানে কাস্টমসে চাকরি করছেন তিনি। পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করতে এক মেয়েকে নিয়ে এসেছেন ক্যাম্পাসে।

তিনি বলেন, “একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে  থিয়েটারই আমার সব ছিল। মঞ্চের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিল নিবীড়। বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়ার-জুনিয়ারের সাথে যোগাযোগ হলো পুনর্মিলনীতে। স্মৃতির পাতাতে আরও একটি দিন যোগ হলো।”

পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করা গোলাম রসুল পাভেল বলেন, “ আমরা নাড়ীর টানে আমরা বারবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে চাই। পুনর্মিলনী হচ্ছে এমন একটি আয়োজন; যেখানে সাবেক ও বতর্মান সবাই অংশগ্রহণ করে। ফিরে যাই অতীতের দিনগুলোতে। তাই সকল সমস্যা উপেক্ষা করে চলে এসেছি।”

দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল রঙের খেলা, স্মৃতিচারণ, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় সংগঠনের সদস্যদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

‘কুড়ির অন্তে নব দিগন্তে’ স্লোগানকে ধারণ করে ‘বিংশতি প্রণতি’ শিরোনামে দিক থিয়েটারের আয়োজনে গত ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শুরু হয় নয় দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। এর উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
 
নয় দিনব্যাপী এই উৎসবে দিক থিয়েটারসহ দেশের খ্যাতনামা নাট্য সংগঠনের পরিবেশনায় ধারাবাহিকভাবে ৮টি মঞ্চস্থ করা হয়। শেষদিন অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শুধু পুনর্মিলনী।

নাট্যোৎসবের আহ্বায়ক এমএইচ সাব্বির বলেন, “আমরা নাটকের আন্দোলনকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই উৎসবের আয়োজন করেছি। শেষদিন আমরা সংগঠানের সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের নিয়ে পুনর্মিলনীর আয়োজন করলাম। মূলত নাটকের আন্দোলনকে আরও তরান্বিত করতে আমাদের এই আয়োজন।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত