সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:৫৯

সিকৃবিতে শেষ হলো সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব

দেশ-বিদেশের বাছাইকৃত ১০০টি চলচ্চিত্র নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় ‘সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব’। ২৩ এপ্রিল সকালে শুরু হয়ে উৎসবের পর্দা নেমেছে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায়।

স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে গত দুই বছর এ উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে। উৎসবের প্রথম দু’দিন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও কর্মশালা, তৃতীয় দিন সেমিনার এবং আজ (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উৎসবস্থলে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (বাংলাদেশি) বিভাগে পুরস্কার জিতেছে ফারহা জাবিন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ড্রিড’, সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (আন্তর্জাতিক) বিভাগে ভারতীয় নির্মাতা শ্রীরাম এসজি পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘খিলুয়ানা’। শ্রীরাম এসজি একইসাথে সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটারের পুরস্কারও পেয়েছেন একই চলচ্চিত্রের জন্য।
এছাড়া সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে ভারতীয় নির্মাতা বিজয় চৌধুরী পরিচালিত ‘ক্ষত’। শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা হয়েছে ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত ‘নীল’। ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার পেয়েছেন সুমন সরকার।

‘কথক মায়া’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা সম্পাদক হয়েছেন দেবাশীষ দাস। শুভ্রা গোস্বামী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা’তে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন মৌসুমী হামিদ এবং শরত পারাইল পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ফিলিংস’-এ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন চন্দন সিং রাজপুত।
বিজয়ী ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান হাওলাদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের অতিরিক্ত পরিচালক নাজিম উদ্দিন আহমেদ, চলচ্চিত্র সংসদের উপদেষ্টা শহীদুল্লাহ কায়সার, সরকার মো. ইব্রাহিম খলিল ও তৌফিকুর রহমান।

প্রধান অতিথি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব স্বাধীন ধারার তরুণ নির্মাতাদের জন্য একটা নতুন দুয়ার খুলেছে। এই উৎসব ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আগামীতে নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের স্বীকৃতি দিতে এই উৎসব আরও ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও রাজধানীর বাইরে এমন আন্তর্জাতিক উৎসব চলচ্চিত্রের দর্শকশ্রেণি তৈরি করতে পারবে।’

সমাপনী বক্তব্য শেষে বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।

এর আগে ২৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী চত্বরে বেলুন উড়িয়ে উৎসব উদ্বোধন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, এবারের আসরে বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলে ৩০৩৬টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। সেখান থেকে বাছাইকৃত ৯৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলিয়ে মোট ১০০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয় উৎসবে। জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নির্মাতা আশরাফ শিশির, মুক্তাদির ইবনে সালাম, অভিনেতা মনোজ কুমার এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত