ডেস্ক রিপোর্ট

১২ আগস্ট, ২০১৫ ১৯:৫৬

সিকৃবিতে চতুর্থদিনের মতো শিক্ষক-কর্মকর্তার কর্মবিরতি পালন

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ৪৭ জন শিক্ষক ও ৩৭ জন কর্মকর্তা বুধবারও একঘন্টা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। গত ৪ দিন ধরে বেলা বারটা থেকে একটা পর্যন্ত নিজ নিজ কার্যালয় থেকে মহান মুক্তিযুুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী এই ৮৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা বেড়িয়ে আসেন এবং প্রশাসন ভবনের সামনের চৌরাস্তায় অবস্থান নেন। এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর বিএনপি-জামাতপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রীট দায়েরের প্রতিবাদে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, কর্মকর্তা (গ্রেড-১), কর্মকর্তা (গ্রেড-২) এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ০৭/১০/২০১৩ ইং তারিখে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর বিএনপি-জামাতপন্থি ৫ জন শিক্ষক, ৩ জন কর্মকর্তা ও ২ জন কর্মচারী মিলিতভাবে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত রীট ভ্যাকেট করার মাধ্যমে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিলেও তাঁদের মধ্যে হতাশা, অস্বস্থি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ১ বছর ৮ মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত করলেও এ সমস্যার কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি বা সমাধান হয়নি।

আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্যে বিএনপি-জামাতপন্থি শিক্ষক কর্মকর্তাদের রীট তুলে নিয়ে সুষ্ঠু একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল করার অনুরোধ করেন। এর আগে আন্দোলনকারীরা গত ২৯ জুন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল। উল্লেখ্য বিএনপি-জামাতপন্থি রীটকারীগণ অনেকেই তাদের চ্যালেঞ্জকৃত আইনের আওতায় নিজেরাই পদোন্নতি ও পর্যায় উন্নয়ন সুবিধা গ্রহণ করেছেন যা তাঁদের দায়েরকৃত রীটের পরিপন্থি। রীট তুলে না নিলে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ আগামী রবিবার থেকে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষনা করেছেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত