সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০১৯ ১৯:৩৮

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে জ্বালানি সাশ্রয়ী স্কুলিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী স্কুলিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

রোববার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টায় ৭টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‌্যালি করে লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে হাজি রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। 

র‌্যালি শেষে লিডিং ইউনিভার্সিটির মূল ফটকে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ¯স্রেডা চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত-সচিব) মো. হেলাল উদ্দিন। সকাল ১১টায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী বিষয়ের উপর কর্মশালায়, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালা শেষে পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ¯স্রেডা বিদ্যুৎ বিভাগের  চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত-সচিব) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের উন্নয়নের জন্য যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন দরকার তেমনি এর ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদেরকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি হলো বিদ্যুৎ, আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালে ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  বাংলাদেশে প্রয়োজন আর ২০৪০ এর প্রয়োজন হবে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর এ বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনার জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি। আর এ দক্ষ জনশক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রিনিওএবল এনার্জি বিষয়ে কোর্স চালু করা যেতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। আজকের এ তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে জ্বালানি এম্বাসেডর উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে তাদেরকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে, তাহলেই টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে  আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের জন্য জ্বালানি সাশ্রয় প্রয়োজন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা করে থাকে। আজকের কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত দিকনির্দেশনাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্বালানি ব্যবহারে সচেতন হবে এবং সমাজে এই সচেতনতা সম্পসারণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি এ কর্মশালার আয়োজন করার জন্য  ¯স্রেডা এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সভায় আরো বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ, ¯স্রেডা সদস্য (অতিরিক্ত-সচিব) সিদ্দিক জোবায়ের, ¯স্রেডা পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. মনজুর মোরশেদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরীসহ লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম, পিএসসি  এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও ৭টি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মো. মকন হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলী আজগর এবং হাসিমি মর্ডান একাডেমির শিক্ষার্থী সানজিদা জান্নাত রুহির সঞ্চালনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী স্কুলিং প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত বক্তব্যে মো. মকন হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলী আজগর ১ম, হাসিমি মর্ডান একাডেমির সাবিয়া আক্তার ২য় এবং আলহাজ্ব তাহির আলী স্কুলের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান ৩য় স্থান অর্জন করে। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম জালালাবাদ কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জাহির ইসলাম ওমর, ২য় বড়ই কান্দি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবিদা আক্তার এবং ৩য় হাজী রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরব চন্দ্র জয়।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত