সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ আগস্ট, ২০১৯ ০৪:০৫

অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার পেলেন ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী

স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের জন্য অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দশ শিক্ষার্থী। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

২০১৮ সালের বিএসএস (অনার্স) পরীক্ষায় মেধাতালিকায় থাকা এই দশ শিক্ষার্থী হলেন- মেহজাবিন বশির তুলি, শারমিন জাহান জোহা, ফয়েজ আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক সোহেল, তন্ময় সাহা জয়, নম্রতা তালুকদার অর্পা, তাহমিনা আক্তার জেনি, সুমাইয়া তানিম, শামীমা নাসরীন এবং মেহেরুন নাহার মেঘলা।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক সিতারা পারভীনের নামে বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদাকর এই পুরস্কার ২০০৬ থেকে প্রতিবছর স্নাতক ডিগ্রিতে সর্বোচ্চ ফলাফলধারীদের দেওয়া হয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।

ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন স্মারক বক্তৃতা’ দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ।

‘গণহত্যা কেন হয়?’ শিরোনামে এই বক্তৃতায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ গণহত্যা এবং এ ধরনের ঘটনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি জেনোসাইডকে সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, শব্দটিকে ঘিরেই কিছুটা ভুল ধারণা রয়েছে। জেনোসাইডকে বাংলায় গণহত্যা বলতে তিনি নারাজ। আর সে কারণে বিশ্বজুড়ে জেনোসাইড বন্ধ করার পাশাপাশি শব্দের ভুল ব্যবহারে যাতে এর গুরুত্ব হারিয়ে না যায় সে দিকটাতে লক্ষ্য রাখার কথা বলেছেন এই শিক্ষাবিদ, গবেষক।

আলোচনায় রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মিয়ানমানে রোহিঙ্গাদের ওপর যা ঘটেছে তাকে জেনোসাইড বলতে হবে, এবং একই পরিস্থিতিতে যাতে তাদের আবার ফেরত যেতে না হয় সে জন্য বিশ্ব বিবেককেই কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে জেনোসাইড ঘটে গেছে, তার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে অনেক বেশি গবেষণা প্রয়োজন বলেও একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন এই বক্তা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অন্তরকেই বিকশিত করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তিনি বলেন, অধ্যাপক সিতারা পারভীন ছিলেন এমনই একজন বিকশিত মানুষ। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক ছিলেন। তার গুণাবলী অনুসরণ করা আমাদের প্রয়োজন।

অধ্যাপক সিতারা পারভীনের গুণাবলী ও নৈতিকতা থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন বলেও মত দেন ঢাবি উপাচার্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত